ইস্ট-মোহনের মাঠের লড়াই। ছবি: পিটিআই।
খেলা তখন শেষ হয়ে গিয়েছে। ১-০ গোলে ডুরান্ড জিতে নিয়েছে মোহনবাগান। শেষ ১০টি কলকাতা ডার্বিতে ন’বার জিতেছে সবুজ-মেরুন। ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা মাঠের এখানে ওখানে বসে রয়েছেন। তাঁদের চোখে মুখে হতাশা। আগের ডার্বিতে জেতার পরে মাঠে লাল-হলুদ সমর্থকেরা ঢুকে পড়েছিলেন আনন্দে। এ বার সে সব নেই। কিন্তু সেই সব ফুটবলারদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা।
কলকাতা ডার্বি মানেই বাড়তি উত্তেজনা। মাঠের মধ্যে একাধিক বার ফুটবলারদের মধ্যে লড়াই দেখা গেল। লাল কার্ড দেখলেন মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রেতের সঙ্গে লেগে গেল দিমিত্রি পেত্রাতসের। হলুদ কার্ড দেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। কিন্তু ম্যাচ শেষে বন্ধুর মতো পাশে দাঁড়ালেন মোহনবাগান ফুটবলারেরা। মুষড়ে পড়া ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের টেনে তুললেন সবুজ-মেরুন ফুটবলারেরা। পুরস্কার নেওয়ার সময়ও দেখা গেল দুই দলের ফুটবলারদের একে অপরকে ‘গার্ড অফ অনার’ দিতে।
যদিও কোচদের কথার লড়াই ম্যাচের পড়েও দেখা গিয়েছে। হেরে গিয়ে বাগানকে খোঁচা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ। পাল্টা জবাব এল বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কাছ থেকেও। টানা আটটি ডার্বি জেতার পর এই বছর ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই হারের বদলা নেওয়ার লক্ষ্য ছিল মোহনবাগানের। দুই দলের সমর্থকেরা তাই আশায় ছিলেন ফাইনালে প্রিয় দলের জয় দেখার। তাঁদের কথার লড়াই চলছিল। ম্যাচ শেষেও চলেছে। কিন্তু ফুটবলারদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ দেখল এ বারের ডার্বি।