গোলের পরে উল্লাস মোহনবাগানের ফুটবলারদের। ছবি: এক্স।
ডাউনটাউন হিরোজ়ের বিরুদ্ধে কোনও রকমে জিতেছিল মোহনবাগান। কিন্তু ডুরান্ড কাপে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে ফর্মে ফিরল তারা। ঘরের মাঠে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সকে ৬-০ গোলে হারাল মোহনবাগান। পরের ম্যাচই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ডার্বির আগে আধ ডজন গোলে জয় আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের।
ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে একমাত্র টম অলড্রেডকে খেলিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু এই ম্যাচে জেসন কামিংস শুরু থেকে খেলেন। তার ফল পায় তারা। ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন কামিংস। সাহাল আব্দুল সামাদের কাছ থেকে বল পান কামিংস। বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন তিনি। ৬ মিনিট পরে ব্যবধান বাড়ান অলড্রেড। লিস্টন কোলাসোর ক্রসে হেড করেন কামিংস। সেই বল গোলরক্ষক বাঁচালেও ফিরতে বলে গোল করেন অলড্রেড।
মোহনবাগানের এই ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। ডার্বির আগে প্রতিপক্ষকে দেখে নিতে চাইছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁকে কিন্তু চিন্তায় রাখবে বাগানের এই পারফরম্যান্স।
এগিয়ে যাওয়ার পরেও আক্রমণ থামায়নি বাগান। ৩৮ মিনিটের মাথায় দলের তৃতীয় গোল করেন লিস্টন। সাহালের কাছ থেকে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল করেন তিনি। ৩-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। ৪৭ মিনিটেই গোল করতে পারতেন সুহেল ভাট। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বাইরে মারেন তিনি। ৫১ মিনিটের মাথায় গোল করতে পারেননি লিস্টন। যদিও বেশি ক্ষণ মোহনবাগানকে আটকাতে পারেনি এয়ারফোর্স। ৬৫ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে দলের চতুর্থ গোল কররেন অনিরুদ্ধ থাপা।
৪-০ গোলে সন্তুষ্ট থাকতে চায়নি মোহনবাগান। ডার্বির প্রস্তুতি ভাল ভাবে সেরে নিল তারা। গোটা ম্যাচে ৭২ শতাংশ বলের দখল ছিল তাদের। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে ১৮টি শট মারে তারা। ৭৬ মিনিটের মাথায় নিজের দ্বিতীয় ও দলের পাঁচ নম্বর গোল করেন কামিংস। সাহালের কাছ থেকে বল পান মনবীর সিংহ। তিনি বল বাড়ান কামিংসকে। গোল করতে ভুল করেননি অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার।
৮২ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ নষ্ট করেন সাহাল। যদিও বাগানের নতুন বিদেশি গ্রেগ স্টুয়ার্ট তা নষ্ট করেননি। সংযুক্তি সময়ে কামিংসের সঙ্গে পাস খেলে বক্সে ঢুকে গোল করেন তিনি। আধ ডজন গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।