রেফারিকে দোষ দিলেন কনস্ট্যান্টাইন। ছবি টুইটার
আর কয়েকটা সেকেন্ড পেরিয়ে গেলেই এ বারের আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট ঢুকে যেত লাল-হলুদের ঘরে। কিন্তু মুহূর্তের অসতর্কতায় এদু বেদিয়ার ফ্রিকিকে গোল খেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ফলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএল আত্মপ্রকাশে হেরেই শুরু করল লাল-হলুদ। ম্যাচের পর রেফারির উপর খাপ্পা কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। তবে দলের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। তাঁর মতে, আগামী দিনে কেমন ইস্টবেঙ্গলকে দেখা যেতে চলেছে, তার একটা আভাস বুধবার পাওয়া গেল।
ম্যাচের পর কনস্ট্যান্টাইন বলেন, “প্রথমার্ধে গোয়া অবশ্যই ভাল খেলেছে। আমরা একটু চাপে পড়েছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে শাসন করেছি। জানি না ওদের গোলকিপার কী করে মাঠে ছিল? সুহেরকে ও রকম ফাউলের পর সরাসরি লাল কার্ড দেখানো উচিত ছিল রেফারির। বিপক্ষকে দশ জনে পেলে আমাদের সুবিধাই হত। গত দুটো ম্যাচেই আমাদের পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
এর পরেই ব্রিটিশ কোচ বলেছেন, “দ্বিতীয়ার্ধে যে গোলটা খেয়েছি তাতে হতাশ ঠিকই। তবে এটা ভেবে অন্তত খুশি যে, বাকি মরসুমে আমরা কেমন খেলব, তার একটা আভাস আজ পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের পারফরম্যান্সই আমরা উপহার দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরই গড়তে হয়। আমরা এখন নিজেদের একটা পরিচয় তৈরি করার চেষ্টা করছি। আমাদের নতুন ফুটবলার, নতুন দল, চার সপ্তাহের অনুশীলনে আইএসএল খেলতে নামতে হয়েছে। যখন এসেছিলাম, হাতে মাত্র ১২ জন ফুটবলার ছিল। তার পরে অনেকে এসেছে। হেরে অজুহাত দিতে চাই না। সত্যি বলতে, এখন দলের খাতায় ছ’পয়েন্ট থাকলে খুশিই হতাম।”
শেষ মুহূর্তে কি মনঃসংযোগের অভাবের কারণে গোল খেতে হল? মানতে চাইলেন না কনস্ট্যান্টাইন। বলেছেন, “মনঃসংযোগের অভাব হয়নি। প্রথম গোলটা গোয়া বেশ ভাল একটা মুভ থেকে করেছে। তবে দ্বিতীয় গোলটা হয়েছে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায়। আমি নিশ্চিত, ১০ বারের মধ্যে ন’বারই ওটা বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। তবু বলব, আমাদের আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল।”
বুধবার হঠাৎই রাইট-ব্যাকে খেলানো হয় সুমিত পাসিকে। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেছেন, “গত তিন বছর ধরে পাসি রাইট-ব্যাকে খেলছে। কখনও সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসাবে খেলেনি। ওকে সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসাবে প্রথম দিকে খেলিয়েছিলাম কারণ, তখন আমাদের হাতে কেউ ছিল না। মিডফিল্ডেও খেলিয়েছি। আজ ও নিজের পজিশনেই খেলেছে। তবে বিরতিতে মনে হয়েছিল ওকে তুলে নেওয়া দরকার। সেটাই করেছি।”