ম্যাচের পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশি সবুজ-মেরুনের স্পেনীয় কোচ। তবে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে চান না। — ফাইল চিত্র
তিনি চেয়েছিলেন লড়াই শেষ হয়ে যাক ৯০ মিনিটেই। ম্যাচের আগের দিনও সে কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছিলেন, খেলা যেমনই হোক, ফাইনালে ওঠাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দোর প্রথম ইচ্ছে সোমবার পূরণ হয়নি। তবে দ্বিতীয় ইচ্ছে বাস্তবায়িত করেছেন ফুটবলার। ১২০ মিনিট খেলেও গোল অটুট রেখে টাইব্রেকারে বাজিমাত করেছেন।
ম্যাচের পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশি সবুজ-মেরুনের স্পেনীয় কোচ। তবে অতিরিক্ত উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে চান না। বলেছেন, “এই ধরনের ম্যাচে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করাই প্রধান কাজ। একটা ভুল হলেও বিপক্ষ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করে ফেলবে। আমরা গোটা ম্যাচে স্নায়ু ধরে রেখে খেলেছি। ছেলেদের ধন্যবাদ যে গোটা ১২০ মিনিটই একই রকম মানসিকতা নিয়ে খেলেছে এবং টাইব্রেকারেও মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে ফাইনালে তুলেছে।”
সেমিফাইনালের আগে ফেরান্দোকে সে ভাবে প্রকাশ্যে টাইব্রেকার অনুশীলন করাতে দেখা যায়নি। তবে তাঁর দাবি, সঠিক সময়ে লোকচক্ষুর আড়ালে টাইব্রেকার অনুশীলন করিয়েছেন। ফেরান্দোর কথায়, “আমি ঠিকই করে রেখেছিলাম কারা টাইব্রেকার মারবে। ওদের আলাদা করে অনুশীলন করিয়েছি। আসলে নকআউট ম্যাচে যে কোনও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি থাকতে হয়। এ বার আমরাও তৈরি ছিলাম। ফাইনালের জন্যেও টাইব্রেকার অনুশীলন করাতে হবে। কারণ বেঙ্গালুরুর মতো দল আমাদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না।”
হায়দরাবাদ দলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। বলেছেন, “ওরা পরিকল্পনা খুব ভাল। গোটা ম্যাচেই গুছিয়ে খেলেছে এবং আমাদের গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। আগেই জানতাম ওদের রক্ষণ ভেদ করা কঠিন হবে। আমরা যা পরিকল্পনা করে নেমেছিলাম, সেটাও ওরা সামলে দিয়েছে।”