গোপনাস্ত্র ভরসা মারিয়োর। নিজস্ব চিত্র
ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী হিসেবে কুয়েস থাকার সময় প্রথম লাল-হলুদে এসেছিলেন তিনি। সে বারের আই লিগে দু’টি সাক্ষাতেই মোহনবাগানকে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের সহকারী হয়ে খুব কাছ থেকে সেই ম্যাচ প্রত্যক্ষ করেছিলেন মারিয়ো রিভেরা। কোচ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই ম্যাচের ভিডিয়োই ‘গোপনাস্ত্র’ বানিয়ে কাজে লাগাতে চাইছেন মারিয়ো।
দলের বিদেশিরা প্রায় কেউই এই ম্যাচের মাহাত্ম্য জানেন না। সেখানে ডার্বি কাছ থেকে দেখেছেন মারিয়ো। কত সমর্থক এই ম্যাচ নিয়ে উৎসাহী থাকেন, সেটাও তিনি জানেন। তাই শনিবার কলকাতা ডার্বির আগে ডারেন সিডোয়েল, আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচদের পুরনো ম্যাচের ভিডিয়ো দেখাচ্ছেন মারিয়ো। ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “আমি বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলে ওদের বোঝানোর চেষ্টা করছি যে দল এবং সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা। যুবভারতীতে আগের ডার্বিগুলোর ভিডিয়ো দেখিয়ে ওদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছি। ওদের বোঝাতে চাইছি যে পরিবেশ কেমন থাকে।”
লিগ তালিকায় সবার শেষে থাকলেও মারিয়ো মানতে রাজি নন যে তাঁদের আত্মবিশ্বাসও তলানিতে থাকবে। বলেছেন, “ডার্বি খেলতে গেলে লিগের অবস্থান মাথায় থাকে না কারওর। ডার্বি মানে চিরশত্রুর বিরুদ্ধে খেলা। সেখানে অনেক কিছুই হতে পারে। আগের ম্যাচে থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক কিছু সম্পর্কে আলোচনা করেছি আমরা। কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক সেটা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। ডার্বি থেকেও আমাদের লক্ষ্য তিন পয়েন্ট।”
প্রতিপক্ষ এটিকে মোহনবাগানকে নিয়ে যদিও যথেষ্ট সতর্ক মারিয়ো। বলেছেন, “এই প্রতিযোগিতায় অন্যতম সেরা আক্রমণ ভাগ এটিকে মোহনবাগানের। ওদের দৌড় থামিয়ে দিতে চাই এবং ফুটবলারদের বেশি পাস খেলতে দিতে চাই না। ওরা প্রথম চারে ওঠার জন্য খেলছে। চাপ ওদের উপরেই থাকবে। আমরা বরং অনেক খোলা মনে খেলতে পারব।”