কোচিং জীবনের প্রথম কলকাতা ডার্বির আগে ফেরান্দো জানালেন, এখনও পর্যন্ত প্রতিপক্ষের একটি ম্যাচও দেখেননি তিনি। ফাইল ছবি
গত দু’টি ম্যাচে ড্র করে শনিবার কলকাতা ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামছে এটিকে মোহনবাগান। লিগ তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে তারা। শনিবার জিতলে প্রথম চারে ঢুকে পড়বে। ফলে শনিবার জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো।
কোচিং জীবনের প্রথম কলকাতা ডার্বির আগে ফেরান্দো জানালেন, এখনও পর্যন্ত প্রতিপক্ষের একটি ম্যাচও দেখেননি তিনি। ফলে কী কৌশল নিয়ে তারা নামবে, সেটাও অজানা তাঁর কাছে। ফেরান্দো বলেছেন, “আমি ওদের একটাও ম্যাচ দেখিনি। তাই ওরা কী কৌশল নিয়ে নামবে বলতে পারব না। আমার লক্ষ্য শুধুই নিজের দলে। নিজেরা কী ভাবে উন্নতি করতে পারে সেটাই সব সময় খেয়াল রাখি।”
আগের দু’টি ম্যাচে ড্র করলেও ঘাবড়াচ্ছেন না ফেরান্দো। তাঁর কথায়, “প্রত্যেকটা ম্যাচ আলাদা। এই মরসুমটাই বাকি সবার থেকে আলাদা। ওড়িশা বা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রায় একই রকম খেলেছি। গোলের সুযোগ পেয়েছি। কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকে দেখুন, একটা ম্যাচে জিতেই পরের ম্যাচে চার গোল খেয়েছে। আমাদের আগের দুটো খেলায় কিন্তু খুব বেশি পরিবর্তন দেখতে পাবেন না।”
আগের ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। তিনি কলকাতা ডার্বিতে খেলবেন কিনা, তা খোলসা করলেন না ফেরান্দো। গত তিনটি কলকাতা ডার্বিতেই গোল রয়েছে কৃষ্ণের। তবে ফেরান্দো জানালেন, ম্যাচ জেতার মতো ফুটবলার রয়েছে তাঁর হাতে। বলেছেন, “রয় খেলবে কি না এখনই বলতে পারছি না। আরও সময় লাগবে ওর। রয় আগের ম্যাচে ভাল খেলতে পারেনি বলে আমি নিজেও হতাশ। কোভিডে কারওরই পরিস্থিতি ভাল ছিল না। সারাক্ষণ সবাইকে ঘরে বন্দি থাকতে হয়েছে। ওকে আমরা ম্যাচে চাই ঠিকই। কিন্তু একটা ম্যাচে খেলতে গিয়ে চোট পেলে তার জন্য ওকে দু’-তিন সপ্তাহের জন্য হারাতে চাই না।”
এক ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে হুগো বুমোসের ফেরা কার্যত নিশ্চিত। যদিও কৌশল ফাঁস করতে চাইলেন না সবুজ-মেরুন কোচ। বলেছেন, “সব বিদেশি ফুটবলারকেই পাচ্ছি। কিন্তু কাদের খেলাব সেটা এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। পাশাপাশি, এই ম্যাচের আগে নিজের কৌশলও বলে দিতে চাই না।”
কলকাতা ডার্বির ঐতিহ্যের কথাও উঠে এল ফেরান্দোর কথায়। বলেছেন, “গত মরসুমে কলকাতা ডার্বি দেখেছি। বাকি অনেক দলের ম্যাচও দেখেছি। কিন্তু কলকাতা ডার্বির যে অনুভূতি তা বলে বোঝানো যাবে না। শুনেছি যুবভারতী স্টেডিয়ামে এই খেলা হলে কত লোক হয়। ডুরান্ড কাপ খেলতে কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানে ওই মাঠ দেখার পরেই বুঝতে পেরেছি লোক ভর্তি থাকলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে। আশা করি পরের মরসুমে ওই স্টেডিয়ামেই খেলবে দুই দল।”