মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবাস যোজনার সমীক্ষা নিয়ে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানালেন হাসনাবাদ ব্লকের মোহনপুর এলাকার বাসিন্দারা।
তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় যাঁদের ছাদ দেওয়া পাকা বাড়ি রয়েছে, যাঁরা সরকারি কর্মচারী, তাঁদের নামও আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার তালিকায় রয়েছে। এমনকী, এলাকার স্বচ্ছল, শাসক ঘনিষ্ঠ বহু পরিবারের নাম আছে তালিকায়। অথচ, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী অনেকের নাম ওঠেনি। যাঁরা কোনও মতে ত্রিপলের তলায় দিন কাটাচ্ছেন, এমন লোকও ব্রাত্য। ব্লক অফিস থেকে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন, তাঁরা সঠিক ভাবে সমীক্ষা করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এ রকম সমীক্ষা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। সম্প্রতি আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন এলাকার এই বাসিন্দারা। তাঁরা প্রথমে মৌখিক ভাবে হাসনাবাদের বিডিওকে সব জানিয়েছেন। তাতে কাজ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত আকারে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন।
সঞ্জয় মণ্ডল, ইসমাইল বৈদ্যেরা বলেন, ‘‘আমরা কাঁচা বাড়িতে থাকি, অনেকে ত্রিপলের তলায় অসহায় অবস্থার মধ্যে থাকেন। আমাদের বাড়িতে সমীক্ষা করতে এসেছিল। কিন্তু আমাদের নাম ঘর পাওয়ার তালিকায় নেই। বরং যাঁদের পাকা বাড়ির রয়েছে, এমন অনেকের নাম ওই তালিকায় রয়েছে। বিডিওকে সব জানিয়েছি। কাজ না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’’
বিডিও জানান, লিখিত অভিযোগ কেউ জানাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, ‘‘উন্নয়নের নামে শুধু তৃণমূল নেতাদের পকেট ভরে, তাদেরই বাড়ি তৈরি হয়— এটাই সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সব কিছুই জানেন, অথচ তিনি নীরব থাকেন।’’
যদিও হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘সমীক্ষা সঠিক ভাবেই হয়েছে। যদি কারও কোনও বক্তব্য থাকে, তা হলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করুন, তদন্ত করা হবে।’’