হুগো বুমোস ফাইল ছবি
রাত পোহালেই কলকাতা ডার্বি। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লিগ তালিকায় আটে রয়েছে সবুজ-মেরুন। অপর দিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গল এখনও সবার শেষেই রয়েছে। ফলে ফুটবল-বিশেষজ্ঞরা খাতায়-কলমে এগিয়ে রাখছেন এটিকে মোহনবাগানকেই।
শনিবারের ম্যাচে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে মাঝমাঠ? কোন দল লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবে? দুই প্রধানেই খেলা প্রাক্তন মিডফিল্ডার মেহতাব হোসেন এগিয়ে রাখছেন এটিকে মোহনবাগানকেই। সবুজ-মেরুনের তুলনায় তাঁর মুখে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কথাই বেশি। আনন্দবাজার অনলাইনকে মেহতাব বলেছেন, “এসসি ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠের অবস্থা দেখে খুবই খারাপ লাগছে। মাঝমাঠ নিয়ে অনেক কাজ বাকি। রাতারাতি ভুল শুধরে নামা সম্ভব নয়। খেলোয়াড়দের বডি শেপই ঠিক নেই। মাঝমাঠে খেলতে গেলে বল ধরে, সঠিক টাচ এবং পাস জরুরি। ডিফেন্ডারদের ধোঁকা নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়তে হবে। এই ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে সেটাই নেই। এখানে বল ধরলেই ব্যাক পাস। প্রতি আক্রমণ কখন করবে ওরা?”
নিজের উদাহরণ দিয়ে মেহতাব বলেছেন, “কেরল ব্লাস্টার্সে খেলার সময় স্টিভ কপেলই হোক বা ইস্টবেঙ্গলে খেলার সময় ট্রেভর মর্গ্যান, এঁরা প্রত্যেকেই প্রতি আক্রমণের উপরে জোর দিতেন। কী ভাবে প্রতি আক্রমণ হবে সেটাও নিখুঁত ভাবে বুঝিয়ে দিতেন আমাদের। প্রতি আক্রমণ শুরু করলে আমরা নিশ্চিত করতাম যে বলটা গোল ছাড়া আর কোথাও যাবে না। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সেটা বুঝতে হবে।”
মেহতাবের মতে, শনিবারের ম্যাচে একাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন হুগো বুমোস। বলেছেন, “বুমোসের সব থেকে বড় গুণ হল, ও অনেকটা জায়গা কভার করতে পারে। জায়গা তৈরি করতে পারে। ফলে গোলের সুযোগ চলেই আসে। ওকে আটকানো এসসি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে কঠিন হতে চলেছে। এ রকম ফুটবলার থাকলে গোল নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে বাস্তবটা ভাবতে হবে। ওদের হাতে বুমোসের মতো ফুটবলার নেই।”
মেহতাব মনে করছেন, এই একটা ম্যাচে ভাল কিছু করতে পারলে বাকি মরসুমটায় অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামতে পারবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তাঁর কথায়, “আমরা সেরা, আমরাই জিতব — এই ভাবনা নিয়ে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। তা হলে জয় না আসুক, অন্তত ড্র করে কিছুটা সম্মানরক্ষা করতে পারে ওরা। আমি জানি দল গড়ার জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়নি। কিন্তু যাদের নিয়ে আসা হয়েছে, তারা তো কেউই এই জার্সিটার গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। এই ম্যাচের জন্য ফুটবলারদের একটা আলাদা জেদ থাকে। সেটা এই দলের কারওর নেই। তা ছাড়া আগের ম্যাচে চার গোল খেয়ে ইস্টবেঙ্গলের আত্মবিশ্বাসে এমনিই অনেকটা ধাক্কা লেগেছে। সেটা কাটিয়ে ২০০ শতাংশ দিতে হবে মাঠে।”