আটকে গেলেন বুমোসরা। ছবি টুইটার
চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধেও এল না জয়। আইএসএল-এ এই নিয়ে টানা তিন ম্যাচে আটকে গেল এটিকে মোহনবাগান। তবে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে হারতে হল না। সবুজ-মেরুন ১-১ ড্র করেছে। প্রথমার্ধে এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। বিরতির কিছুটা আগে সমতা ফেরান চেন্নাইয়িনের ভ্লাদিমির কোমান।
গোলের লক্ষ্যে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে এটিকে মোহনবাগান। শুরুতেই রয় কৃষ্ণ এগিয়েছিলেন বল নিয়ে। কিন্তু অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় ফিনিশ করতে পারেননি। প্রথম দশ মিনিটে কোনও দলই সে ভাবে আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান।
কোমানের একটি মিসপাস ধরে ফেলেন মনবীর। সেখান থেকে বল যায় কৃষ্ণের কাছে। গোলের দিকে সেই ফাঁকে দৌড়চ্ছিলেন লিস্টন কোলাসো। কৃষ্ণের থেকে বল পেয়ে চলতি বলেই শট নিয়ে গোল করেন।
তবে হাবাসের কৌশলও কিছুটা দায়ী। গোল আসছে না দেখেও তিনি ডেভিড উইলিয়ামসকে নামাননি আগে। তাঁকে যখন শেষমেশ নামালেন, খেলা তখন শেষের দিকে। তার কিছুক্ষণ আগে মাইকেল সুসাইরাজ এবং লেনি রদ্রিগেসকে নামালেও তাঁরা ম্যাচে ছাপ ফেলতে পারেননি।
তবে গোল খেয়েই চেন্নাইয়িন তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠতে থাকে। সবুজ-মেরুনের বক্সে একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসতে থাকে। আশুতোষ, প্রীতম ঠান্ডা মাথায় তার মোকাবিলা করতে থাকেন। ভাল কিছু শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার অমরিন্দরও। চেন্নাইয়িন এই সময় বেশ কিছু কর্নার পায়। যদিও তার কোনওটিই তারা কাজে লাগাতে পারেনি।
অবশেষে বিরতির কিছুক্ষণ আগে সমতা ফেরায় চেন্নাইয়িন। দ্রুত থ্রো-ইন নেন অনিরুদ্ধ থাপা। লুকাস বল পেয়ে তা পাস করেন ভ্লাদিমির কোমানকে। বল পেয়েই ডান পায়ে শট নেন কোমান। অমরিন্দর ঝাঁপিয়েও কিছু করতে পারেননি।
এর মাঝেই বিরতির আগে বাগানের ফিজিয়ো লুইসকে লাল কার্ড দেখানো হয়। দীপক এবং লুকাসের একটি ঝামেলাকে ঘিরে রেফারির সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখান।
দ্বিতীয়ার্ধে গোটাদুয়েক সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। ৪৮ মিনিটে কৃষ্ণের পাস পেয়ে শট করেছিলেন হুগো বুমোস। অল্পের জন্য তা বাইরে যায়। ৬২ মিনিটে কর্নার থেকে গোলের কাছাকাছি এসে গিয়েছিলেন জনি কাউকো। কিন্তু কাজে লাগেনি।