SC East Bengal

SC East Bengal: কেরলের ছন্দ নষ্ট করতে চান দিয়াস

কেরলের শুরুটাও এ বার ভাল হয়নি। প্রথম ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগানের কাছে ২-৪ গোলে হার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:০৪
Share:

আস্থা: পেরোসেভিচই ভরসা লাল-হলুদের। ছবি— এসসি ইস্টবেঙ্গল।

অষ্টম আইএসএলে পাঁচটি ম্যাচ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত জিততে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। হার তিনটিতে। ড্র করেছে দু’টি ম্যাচে। দুই পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল টেবলে এগারো নম্বরে রয়েছেন ড্যানিয়েল চিমারা। এই পরিস্থিতিতে কাল, রবিবার লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ কেরল ব্লাস্টার্স।

Advertisement

কেরলের শুরুটাও এ বার ভাল হয়নি। প্রথম ম্যাচে এটিকে-মোহনবাগানের কাছে ২-৪ গোলে হার। তার পরে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি ও বেঙ্গালুরুর সঙ্গে ড্র। কিন্তু শেষ ম্যাচে দুরন্ত ছন্দে থাকা ওড়িশা এফসি-কে ২-১ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছে কেরল। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ ম্যানুয়েল দিয়াসের। শুক্রবার সকালের অনুশীলনে মাঠেই ফুটবলারদের দীর্ঘক্ষণ ক্লাস নিয়েছেন তিনি। লাল-হলুদ কোচের পর্যবেক্ষণ, নিজেদের মধ্যে প্রচুর পাস খেলেই ওড়িশার ছন্দ নষ্ট করে দিয়েছিলেন কেরলের ফুটবলাররা।

এই মরসুমে ওড়িশার খেলার রণনীতিই হল হাভিয়ের হার্নান্দেসের নেতৃত্বে প্রচণ্ড গতিতে আক্রমণের ঝড় তোলা। যা সামলাতে না পেরেই ৪-৬ গোলে হেরেছিল লাল-হলুদ। কেরলের কোচ ইভান ভুকোমানেভিচ কিন্তু দিয়াসের মতো ভুল করেননি। ওড়িশার ছন্দ নষ্ট করতে হর্হে দিয়াসদের বেশি পাস খেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ওই ম্যাচে ৫৩ শতাংশ বলের দখল ছিল কেরলের। ৪১২টি পাস খেলেছিলেন হরমনজোৎ সিংহ খাবররা। নিখুঁত পাস ৭৫ শতাংশ। ওড়িশা খেলেছিল ৩৫১টি পাস। নিখুঁত পাস ৬৬ শতাংশ।

Advertisement

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো লাল-হলুদ কোচও তাই কেরলকে হারাতে পাসিং ফুটবলকে অস্ত্র করতে চান। কিন্তু তাঁর উদ্বেগ বাড়াচ্ছে এফসি গোয়ার কাছে ৩-৪ গোলে হারের ম্যাচের পরিসংখ্যান। মাত্র ৩৫ শতাংশ বল সে দিন নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিলেন আমির দেরভেসেভিচরা। শুধু তাই নয়, গোয়ার ফুটবলাররা ৫৫২টি পাস খেলেছিলেন। সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল খেলেছিল ১৮৮টি! নিখুঁত পাস ছিল ১১৭টি। এই সমস্যা দূর করতে ম্যাচ অনুশীলনের সময় বল ধরে খেলার উপরেই জোর দিয়েছিলেন ম্যানুয়েল। ফুটবলারদের তিনি বলে দিয়েছেন, ভুল পাস দেওয়া চলবে না।

লাল-হলুদ কোচের পরিকল্পনা কি সফল হবে? মাঝমাঠের প্রধান ভরসা ড্যারেন সিডয়োলের এই ম্যাচেও খেলার সম্ভবনা ক্ষীণ। তবে ফিরতে পারেন মহম্মদ রফিক। আগের ম্যাচে চিমাকে দ্বিতীয়ার্ধে নামিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। কেরলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই খেলাতে পারেন নাইজিরীয় স্ট্রাইকারকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement