বিশ্বকাপের ফাইনালে জিততে হলে মেসিকে আটকাতে হবে, সেটা ভাল করেই জানেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশঁ। —ফাইল চিত্র
নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হাল চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি। ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাটকো দালিচ চেষ্টা করেছিলেন। তিনিও ব্যর্থ। এ বার পরীক্ষা দিদিয়ের দেশঁর। বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারাতে হলে রুখতে হবে লিয়োনেল মেসিকে। সেটা ভাল ভাবে জানেন ফরাসি কোচ। মেসিকে আটকানোর পরিকল্পনা তাঁর তৈরি বলে জানিয়েছেন দেশঁ।
মরক্কোর বিরুদ্ধে জিতে সংবাদমাধ্যমে মেসিকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দেশঁ বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে মেসি। আর্জেন্টিনাকে হারাতে গেলে ওকে আটকাতেই হবে। আমাদের পরিকল্পনা তৈরি।’’
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু চার বছরে আর্জেন্টিনা অনেক বদলে গিয়েছে বলে মনে করেন দেশঁ। তিনি বলেন, ‘‘চার বছর আগে পরিস্থিতি অন্য ছিল। তখন মেসি সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসাবে খেলেছিল। ওকে সাহায্য করার কেউ ছিল না। কিন্তু এ বার ও দুই ফরোয়ার্ডের এক জন হিসাবে খেলছে। আবার কখনও ফরোয়ার্ডদের পিছন থেকে খেলছে। এই দলে ওকে সাহায্য করার মতো ফুটবলার রয়েছে। মেসি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ওকে যতটা পারব আটকানোর চেষ্টা করব।’’
তিনি যেমন মেসিকে আটকানোর পরিকল্পনা করেছেন তেমনই প্রতিপক্ষ কোচ তাঁর দলের ফুটবলারদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করছেন। বিশেষ করে এমবাপেকে আটকানোর চেষ্টা করবে আর্জেন্টিনা। মরক্কো সেই কাজে অনেকটা সফল হলেও শেষ পর্যন্ত পারেনি। আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি সেই কাজে কতটা সফল হবেন তা রবিবার মাঠে দেখা যাবে।
মরক্কোর বিরুদ্ধে জিতলেও সেই জয় খুব সহজে আসেনি বলে জানিয়েছেন দেশঁ। তাঁর কথায়, ‘‘দলকে নিয়ে আমি গর্বিত। ফাইনালে ওঠা সহজ ছিল না। খুব কষ্ট করে জিততে হয়েছে। দলের তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেল রয়েছে। যে ভাবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমাদের ফুটবলাররা দলকে টেনে বার করেছে তা আমাকে মুগ্ধ করেছে।’’
পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি রয়েছে ব্রাজিলের। ১৯৫৮ সালের পরে ১৯৬২ সালে এই কীর্তি করেছিল তারা। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জিতেছে ফ্রান্স। এ বারও বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে। রবিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারলে ব্রাজিলের সেই নজির ছুঁয়ে ফেলবেন দেশঁ। সেই স্বপ্নেই বুঁদ তিনি।