প্রিয় ফুটবলার মেসিকে অভিনব ভাবে শ্রদ্ধা জানালেন এক ভক্ত। ফাইল ছবি।
প্রিয় খেলোয়াড়দের নিয়ে ভক্তদের পাগলামির শেষ থাকে না। প্রিয় খেলোয়াড়ের দেখা বা একটু ছোঁয়া পাওয়ার জন্য তাঁরা মাইলের পর মাইল হাঁটতেও রাজি থাকেন। লিয়োনেল মেসির এক ভক্ত অবশ্য তেমন কিছু করেননি। তিনি মাথার চুল কেটেছেন বিশেষ ভাবে।
তাঁর প্রিয় ফুটবলার মেসি। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিজের চুলই কেটে ফেললেন তিনি। তবে যেমন তেমন ভাবে নয়। বিশেষ কায়দায় চুল কাটিয়েছেন তিনি। নাপিতের হাতের জাদুতে তাঁর মাথার পিছনে আঁকা হয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের মুখ। অবশ্যই সাধারণ ভাবে চুল কাটাতে যাননি তিনি। গিয়েছিলেন চুলে ট্যাটু করাতে।
ডোমিনিকা প্রজাতন্ত্রের বাসিন্দা আন্তোনিয়ো মেসির অন্ধ ভক্ত। তাঁর কাছে ফুটবল মানেই মেসি। মেসি ছাড়া তাঁর কাছে ফুটবল অর্থহীন। পেশায় তিনি নিজেও নাপিত। চুলে মেসির মুখের ট্যাটু করার কথা তাঁর মাথাতেই আসে। মেসির ছবি দেওয়া টি-শার্ট বা সাধারণ কোনও ভাবে মেসিকে শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানাতে চাননি তিনি। তাক লাগিয়ে দেবে এমন কিছুই করতে চেয়েছিলেন তিনি। যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
নিজে তো চুলে মেসির মুখের ট্যাটু করেই থামেননি আন্তোনিয়ো। তাঁর কাছে যাঁরা চুল কাটাতে আসছেন, তাঁদের অনেককেও একই রকম ট্যাটু করে দিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান কারণ আমি মেসিযুগের মানুষ। এই যুগে ফুটবলের ইতিহাস নতুন করে লেখা হচ্ছে। আমি অনেক বিশ্বকাপ দেখেছি। আশা করেছিলাম, এ বার মেসি এই ট্রফিটা জেতার সুযোগ পাবেন। ফুটবল ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলই শেষ পর্যন্ত জিতেছে। মেসি মাঠে এবং মাঠের বাইরে দুর্দান্ত মানুষ।’’
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তিনি চুলের এই ট্যাটু করতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু এত দিন তা প্রকাশ করেননি। আর্জেন্টিনা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমাজমাধ্যমে চুলে মেসি ট্যাটুর ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়েছে তাঁর এই শিল্পকর্ম।
আন্তোনিয়ো এ ভাবেই চুলে ফুটিয়ে তুলছেন মেসির মুখ। ছবি: টুইটার।
বিশ্বকাপ জেতার পর দেশেও ফিরে গিয়েছেন মেসিরা। তাঁদের স্বাগত জানাতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেছিলেন বুয়েনস এয়র্সের রাস্তায়। ট্রফি জড়িয়ে ধরে ঘুমনোর ছবি সমাজমাধ্যমে দিয়েছেন মেসি। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে সকলকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অর্জেন্টিনার অধিনায়ক। দিয়েগো মারাদোনা ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় বার বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। তার ৩৬ বছর পর দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ দিলেন মেসি।