বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথমার্ধের পর সাজঘরে গিয়ে সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করেন এমবাপে। ফাইল ছবি।
লিয়োনেল মেসিদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথমার্ধেই ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ফ্রান্স। সকলেই প্রায় নিশ্চিত ছিলেন তৃতীয় বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে আর্জেন্টিনা। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন কিলিয়ন এমবাপে। প্রথমার্ধের পর সাজঘরে গিয়ে সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করতে বক্তব্য রাখেন তিনি।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েননি এমবাপে। বরং দ্বিতীয়ার্ধে আরও শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসার কথা ভেবেই মাঠ ছাড়েন তিনি। সাজঘরে ফিরে সতীর্থদের তরুণ স্ট্রাইকার বলেন, ‘‘এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল। এটা সারা জীবনের ম্যাচ। যাই হোক, আমরা আর খারাপ খেলতে পারি না। হয় আমরা ওদেরই খেলতে দিই, নয়তো আমরা খেলি। আমরা আর একটু আগ্রাসী ভাবে খেলি। চলো আমরা লড়াই করি। বন্ধু, কিছু করার চেষ্টা করি আমরা। এটা বিশ্বকাপের ফাইনাল। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওরা দুটো গোল করেছে। আমরা দু’গোলে পিছিয়ে রয়েছি। এখনও আমরা ম্যাচে ফিরে আসতে পারি। চলো বন্ধুরা কিছু একটা করি। এমন সুযোগ চার বছরে এক বারই আসে।’’
এমবাপের বক্তব্যের জন্যই ফ্রান্সকে দ্বিতীয়ার্ধে অন্য চেহারায় দেখা গিয়েছিল কিনা তা নিয়ে তর্ক হতে পারে। তরুণ স্ট্রাইকার সতীর্থদের উদ্দীপ্ত করে পাল্টা ল়ড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন। ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে তার সুফলও পেয়েছিল ফ্রান্স। ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে নির্ধারিত সময় ২-২ করে গত বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পরে অতিরিক্ত সময় লিয়োনেল মেসি আর্জেন্টিনাকে আবার এগিয়ে দেওয়ার পরেও এমবাপে গোল করে সমতা ফেরান। দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেও দেশকে পর পর দু’বার বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি তিনি। টাইব্রেকারে ২-৪ গোলে হেরে যান তাঁরা।
মঙ্গলবার ২০ বছর পূর্ণ করেছেন এমবাপে। তার আগের রাতেই দেশে ফিরেছে বিশ্বকাপ রানার্স ফ্রান্স। অন্য ফুটবলারদের হাসিখুশি দেখালেও এমবাপেকে মনমরা দেখিয়েছে। ফাইনালে হারের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি তিনি। উল্লেখ্য, ফাইনালের পর মেসির ক্লাব সতীর্থকে মাঠেই সান্ত্বনা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। বিশ্বকাপে আটটি গোল করে সোনার বুট জিতেছেন এমবাপে।