পরের বিশ্বকাপ থেকে একটি বেশি ম্যাচ খেলতে হতে পারে কিছু দলকে। ছবি: টুইটার।
বদলে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। ২০২৬ সাল থেকেই নতুন চেহারায় দেখা যাবে বিশ্বকাপকে। বাড়ছে দলের সংখ্যা। বাড়বে খেলার সংখ্যাও। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও ফিফার গভর্নিং কাউন্সিল এখনও সরকারি ভাবে অনুমোদন দেয়নি।
আগামী ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে আয়োজন করবে আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকো। ফিফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরের বিশ্বকাপ থেকে ৩৬টির বদলে অংশ নেবে ৪৮টি দেশ। প্রতিটি গ্রুপে আগের মতোই থাকবে চারটি করে দল। আটটির বদলে গ্রুপের সংখ্যা বেড়ে হবে ১২। দলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে বিশ্বকাপে ম্যাচের সংখ্যাও।
ফিফার পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে ২৪টি। ম্যাচ হবে মোট ১০৪টি। বিশ্বকাপ চলবে ৪০ দিন ধরে। যে দু’দল ফাইনালে উঠবে তাদের খেলতে হবে আটটি করে ম্যাচ। অর্থাৎ, এখনকার থেকে একটি ম্যাচ বেশি। বিশ্বকাপ ফুটবলের বহর বাড়ানো নিয়ে ফিফার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। যদিও এখনও পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়নি ফিফার গভর্নিং কাউন্সিল। ফিফা ফুটবলের আরও প্রসারের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া কার্যকর করা সম্ভব নয়।
ফিফা সূত্রে খবর, গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমোদন গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা অনেকটাই আনুষ্ঠানিক এক্ষেত্রে। কাউন্সিলের মঙ্গলবারের বৈঠকেই বিশ্বকাপের বহর বাড়ানোর সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে যাবে। কাউন্সিলের সদস্য সংখ্যা ৩৬। ফিফার এক কর্তা বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের দল এবং ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ২০২৬ সালের জন্য সে ভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। গভর্নিং কাউন্সিলে সর্বসম্মত ভাবেই গৃহীত হবে এই সিদ্ধান্ত।’’ ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফান্তিনো ঘনিষ্ঠ কর্তাদের জানিয়েছেন, ছ’টি কনফেডারেশনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। কেউই বিশ্বকাপের বহর বাড়ানো নিয়ে আপত্তি করেননি।
ফিফা যতটা সহজ ভাবে দেখছে, বিষয়টা ততটা সহজ না-ও হতে পারে। কারণ ম্যাচ এবং প্রতিযোগিতার সময় বাড়ায় খুব একটা খুশি নয় পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন। উদ্বিগ্ন ফুটবল ক্লাবগুলির সংগঠনও। ফিফা কর্তারা অবশ্য আশাবাদী। তাঁদের দাবি, প্রথমত অর্ধেকের বেশি দলকেই বেশি ম্যাচ খেলতে হবে না। প্রতিযোগিতার সময় বাড়তে পারে সর্বোচ্চ ১০ দিন। তাই ক্লাবগুলির সূচিতে তেমন সমস্যা হবে না। সব দিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।