গ্যালারি থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত। ফাইল ছবি।
আমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন মহম্মদ শামিকে দেখে গ্যালারি থেকে কয়েক জন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলেছিলেন। দু’এক জন শামির নাম ধরে ডেকেও ছিলেন। সেই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হলেও বিষয়টি নাকি জানা নেই রোহিত শর্মার। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, এমন কোনও ঘটনার কথা তিনি শোনেননি।
সোমবার টেস্ট শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রোহিত। সে সময় শামিকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির প্রসঙ্গ ওঠে। বিষয়টি শুনে রোহিত বলেছেন, ‘‘শামিকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এই প্রথম শুনলাম। বলতে পারব না কী ঘটেছিল।’’
ঘটনার পর পরই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমে। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। আমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন খেলা শুরুর আগে দর্শকদের একাংশ শামির নাম করে কিছু ক্ষণ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিলেও ভারতীয় ক্রিকেটাররা কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাননি। শামি নিজেও গ্যালারির দিকে তাকাননি। শুধু সূর্যকুমার যাদবকে দেখা গিয়েছিল হাত জোড় করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া দর্শকদের চুপ করার অনুরোধ করছেন। ভারতীয় দল বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
আমদাবাদ টেস্টের প্রথম দিন সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্টেডিয়ামেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের একাংশকে অতি উৎসাহিত করে থাকতে পারে। দর্শকদের এই আচরণের নিন্দা করেন ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ। ভারতীয় দলের এক জন ক্রিকেটারকে খেলা শুরুর আগে কেন এ ভাবে অস্বস্তিতে ফেলা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। খেলার মধ্যে অকারণে রাজনীতি আনার অভিযোগও করেছিলেন কেউ কেউ।
এই প্রথম নয়। আগেও শামিকে ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছে। বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়েও বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল বাংলার জোরে বোলারকে। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে ভাল বল করতে পারেননি শামি। তখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ হারের জন্য দায়ী করেছিলেন তাঁকে। দলের ব্যর্থতার দায় চাপানো হয়েছিল তাঁর উপর। সে সময় সচিন তেন্ডুলকর, ভিভিএস লক্ষ্মণরা প্রতিবাদ করেছিলেন। শামির পাশে দাঁড়িয়েছিল আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলিও।