পাকিস্তানকে দেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও উইকেট নিয়ে আইসিসির দ্বারস্থ। ছবি: টুইটার।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া ইনদওর টেস্টের উইকেটকে ‘খারাপ’ তকমা দিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। তাঁর রিপোর্টের ভিত্তিতে চূড়ান্ত রায় দেওয়ার আগে আইসিসিকে পিচ খতিয়ে দেখার আবেদন করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ম্যাচ রেফারির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করে আইসিসির কাছে আবেদন করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উইকেট খতিয়ে দেখবে আইসিসির দুই সদস্যের কমিটি। তারা ১৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত রায় দেবে আইসিসি।’’
বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের তৃতীয় টেস্ট হয়েছিল ইনদওরে। তিন দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছিল খেলা। প্রথম দু’দিনে পড়ছিল ৩০ উইকেট। সেই টেস্টে ৩১ উইকেটের ২৬টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা। অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতলেও উইকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ম্যাচ রেফারি ব্রড ইনদওরের পিচকে ‘খারাপ’ তকমা দিয়েছিলেন তাঁর রিপোর্টে।
ব্রড পিচ সম্পর্কে রিপোর্টে লিখেছিলেন, ‘‘পিচ খুব শুষ্ক ছিল। ব্যাট এবং বলের ভারসাম্য ছিল না। পিচ প্রথম থেকেই স্পিনারদের সাহায্য করেছে। গোটা ম্যাচেই অতিরিক্ত এবং অসমান বাউন্স দেখা গিয়েছে।’’ ব্রডের রিপোর্ট অনুযায়ী আইসিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে ইনদওরের ডিমেরিট পয়েন্ট হবে তিন। এর ফলে আগামী পাঁচ বছর আইসিসির নজরদারি থাকবে ইনদওর। এই সময়ের মধ্যে আরও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ১২ মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ হবে এই মাঠে। তেমন পরিস্থিতি এড়াতে সক্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ইনদওরে অবশ্য তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা ছিল না। প্রথমে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ধরমশালায়। প্রবল ঠান্ডার জন্য সেখানকার মাঠ সময় মতো খেলার উপযুক্ত করে তুলতে না পারায় তৃতীয় টেস্ট ইনদওরে সরিয়ে এনেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড কর্তারা ধরমশালা মাঠ পরিদর্শনের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি টেস্ট সরিয়ে এনেছিলেন ইনদওরে। ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় টেস্ট। সাধারণত ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের বিরুদ্ধে ক্রিকেট বোর্ডগুলি আইসিসির কাছে আবেদন করে না। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড রাওয়ালপিন্ডির পিচ নিয়ে আইসিসির কাছে আবেদন করেছিল। তার পর রাওয়ালপিন্ডিকে এক ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট হয়েছিল রাওয়ালপিন্ডিতে। পাকিস্তানকে ৭৪ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবু পাইক্রফট সেখানকার উইকেটকে ‘সাধারণের থেকে খারাপ’ তকমা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সেই সাফল্যে আশাবাদী ভারতও।
শুধু তৃতীয় টেস্টের উইকেটই নয়। বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ়ের প্রথম দু’টি টেস্টের উইকেট নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই দুই ম্যাচে ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। তিনি নাগপুর এবং দিল্লির ২২ গজকে ‘সাধারণ’ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন। ভারতের জেতা প্রথম দু’টি টেস্টও শেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনের মধ্যে।