East Bengal

জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল, ক্লেটনের গোলে কোনও রকমে ‘লাস্ট বয়’কে হারাল লাল-হলুদ

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। তবে ম্যাচে দাপট দেখাতে পারল না তারা। ক্লেটন সিলভার করা একমাত্র গোলে কোনও রকমে ৩ পয়েন্ট পেল লাল-হলুদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২৭
Share:

গোল করে উল্লাস ক্লেটন সিলভার। ছবি: এক্স।

লিগ টেবিলের শেষ দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএলে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি হায়দরাবাদ। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও জিততে পারল না তারা। ০-১ গোলে হারতে হল। ক্লেটন সিলভার করা একমাত্র গোলে পাঁচ ম্যাচের খরা কাটিয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতলেও তাদের খেলা মন ভরাতে পারল না। দুর্বল হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও মাঠে দাপট দেখাতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধে হায়দরাবাদ দাপট দেখাল। ক্লেটনের একক দক্ষতা না থাকলে হয়তো এই ম্যাচেও পয়েন্ট খোয়াতে হত লাল-হলুদকে।

Advertisement

হায়দরাবাদকে হারিয়ে লিগ টেবিলে উঠল ইস্টবেঙ্গল। পঞ্জাব, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়িনকে টপকে আট নম্বরে উঠে এল তারা। অর্থাৎ, প্রথম ছয় দলের মধ্যে শেষ করার দৌড়ে এখনও রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।

একমাত্র বিদেশি নিয়ে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল শুরুটা ভাল করেছিল। নিশু কুমার, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়েরা প্রান্ত ধরে আক্রমণ তুলে আনছিলেন। ক্লেটনের সঙ্গে শুরু থেকেই ভিক্টর ভাসকুয়েস ও ফেলিসিয়ো ব্রাউনকে জুড়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

Advertisement

১১ মিনিটের মাথাতেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে বল ভাসান নিশু। হেডে গোল করে লাল-হলুদকে এগিয়ে দেন ক্লেটন। গোল পেয়ে যাওয়ার পরে আক্রমণ আরও বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ প্রতি আক্রমণের উপর নির্ভর করে খেলছিল। ২০ মিনিটের মাথায় এক বার লাল-হলুদ বক্সে তারা ঢুকলেও হিজাজি মাহেরকে পরাস্ত করতে পারেনি।

প্রথমার্ধে আরও গোল করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু হায়দরাবাদের ডিফেন্ডার অ্যালেক্স সাজি দু’টি ক্ষেত্রে নিশ্চিত গোল বাঁচান। ৪১ মিনিটের মাথায় ছ’গজ দূর থেকে ক্লেটনের শট আটকে দেন তিনি। সেখান থেকে গোল করা উচিত ছিল ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কের। দু’মিনিট পরেই বক্সের মধ্যে বল পেয়েছিলেন ফেলিসিয়ো। তাঁকে ছাড়েননি সাজি। কোনও রকমে বল বার করেন তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে হায়দরাবাদ। বেশ কয়েক বার লাল-হলুদ বক্সে উঠে আসে তারা। ৬১ মিনিটের মাথায় জোসেফ সানির বল একটুর জন্য বাইরে যায়। সে ক্ষেত্রে ভুল করে ফেলেছিলেন হিজাজি। তবে খেসারত দিতে হয়নি। তার পরেই সিলভার বাঁক খাওয়ানো শট ঝাঁপিয়ে বাঁচান লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিল।

হঠাৎ বদলে যায় খেলা। একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে হায়দরাবাদ। রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ৬৭ মিনিটের মাথায় জোয়াও ভিক্টরের দূরপাল্লার শট একটুর জন্য বাইরে যায়। অনেক চেষ্টা করলেও গোলের মুখ খুলতে পারছিল না হায়দরাবাদ। গোল করার লোকের অভাব বোঝা যাচ্ছিল।

হায়দরাবাদ সব থেকে ভাল সুযোগ পেয়েছিল ৮৪ মিনিটের মাথায়। বক্সে অরক্ষিত অবস্থায় বল পান জেরেমি। গোল লক্ষ্য করে হেড করেন তিনি। কিন্তু পোস্টে লেগে বল ফেরে। ভাগ্যের জোরে বেঁচে যায় ইস্টবেঙ্গল। শেষ দিকে হায়দরাবাদের দু’জন ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন। তাতে খেলার ছবি বদলায়নি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে জিতেই মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচ জিতলেও লাস্ট বয়ের বিরুদ্ধে যে দাপট লাল-হলুদ সমর্থকেরা আশা করেছিলেন তা দেখা গেল না। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে বেশি ভাল খেলল হায়দরাবাদ। তাদের এক জন দক্ষ স্ট্রাইকার থাকলে খেলার ফল অন্য রকমও হতে পারত। ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে ফুটবলারদের খেলায় কি সন্তুষ্ট হতে পারলেন কুয়াদ্রাত! কারণ, প্রায় গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে সাইডলাইনে সহকারী ডিমাস ডেলগাডোর সঙ্গে আলোচনা করলেন তিনি। দলের ফাঁকফোকর হয়তো দেখে নিলেন লাল-হলুদ কোচ। এখন দেখার পরের ম্যাচে তা ভরাট হয় কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement