লিয়োনেল মেসি। — ফাইল চিত্র।
ক্লাবকর্তা বা প্রভাবশালী কারও আদেশে অনামী ফুটবলারকে আচমকা মাঠে নামিয়ে দিয়েছে অনেক ফুটবল ক্লাবই। তাই বলে ফুটবলে কোনও দিন পা না দেওয়া সমাজমাধ্যমের এক ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ বা প্রভাবী নেমে পড়লেন পেশাদার ফুটবলে! এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছে আর্জেন্টিনার ক্লাব ডিপোর্টিভো রিয়েস্ত্রা। গোটা দেশে সমালোচিত হচ্ছে তারা। তবে ঘটনার পরে ক্ষমাও চেয়েছে ক্লাব। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা।
সোমবার রাতে আর্জেন্টিনার লিগের সেরা দল ভেলেজ সার্সফিল্ডের সঙ্গে খেলা ছিল রিয়েস্ত্রার। সেখানেই নামিয়ে দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার এক প্রভাবী ইভান বাহাজেরুক ওরফে ‘স্প্রিন’কে। ২৪ বছরের যুবককে মাত্র ৭৮ সেকেন্ড মাঠে রাখা হয়েছিল। তার পরেই তুলে নেওয়া হয়। সমাজমাধ্যমে দেড় কোটি অনুরাগী রয়েছে ‘স্প্রিন’-এর।
সমাজমাধ্যমে সাধারণ কোনও ম্যাচের আগে রিয়েস্ত্রা ভিডিয়ো পোস্ট করলে সাধারণত কয়েক হাজার মানুষ দেখেন। কিন্তু ‘স্প্রিন’কে খেলানোর পোস্ট করতেই তা দেখেছেন ৩৪ লক্ষ মানুষ। রিয়েস্ত্রা ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছে, বাণিজ্যিক কারণেই এমন কাজ করা হয়েছে।
যদিও গোটা দেশেই সমালোচিত হয়েছে তারা। আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন বলেছেন, “ফুটবলার এবং ফুটবলের প্রতি চূড়ান্ত অসম্মান করা হয়েছে।” ভেলেজের স্ট্রাইকার ব্রায়ান রোমেরো বলেছেন, “ফুটবলের প্রতি কোনও সমীহ করা হয়নি। সমাজের কাছে এটা খারাপ বার্তা। বিশেষত সেই সব খুদেদের কাছে যারা ফুটবলার হওয়ার জন্য নিজেদের শেষ টুকু নিংড়ে দেয়।”
যদিও রিয়েস্ত্রার অধিনায়ক মিলটন সেলিজ় বলেছেন, “স্প্রিন ক্লাবে বন্ধুর মতোই। ওর চুক্তিও রয়েছে। ওকে উপভোগ করতে দিন। প্রথম ডিভিশনে সবাই খেলতে চায়।” তবে সেলিজ়ের সাফ কথায়, ‘স্প্রিন’কে খেলানোর দায় ফুটবলারদের নয়, ক্লাব মালিকদের।