যশপ্রীত বুমরা। — ফাইল চিত্র।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজ় খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। অনুশীলনও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে সেই অনুশীলনের আগে সমালোচনাও হয়েছে। ভারত ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করে টেস্ট দল ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অনুশীলন করতে চাইছে। এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন সুনীল গাওস্করও।
তবে পুরোপুরি প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করা হচ্ছে এমন নয়। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় দল নিজেদের মধ্যে দু’টি ভাগ করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। শুক্রবার থেকে সেই ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা পার্থের স্টেডিয়ামে। কোনও দর্শককে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বোর্ড চায় তাদের প্রস্তুতির খবর বাইরের বিশ্বের কাছে যেন লুকোনোই থাকে।
লুকোছাপা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। মাঠের যে অংশে ভারত অনুশীলন করছে তার চারপাশ ঢেকে রাখা হয়েছে কালো কাপড় দিয়ে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট সংস্থার কর্মীদের ফোন নিয়ে সেই অংশে ঢুকতে বারণ করা হয়েছে।
রোহিত শর্মা ছাড়া গোটা দলই পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। মঙ্গলবার ঐচ্ছিক অনুশীলনে প্রায় সকলেই এসেছিলেন। তবে বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং যশপ্রীত বুমরা অনুশীলনে আসেননি।
প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবশ্য মেনে নিতে পারেননি গাওস্কর। তিনি এক সংবাদমাধ্যমে লিখেছিলেন, “পার্থে ভারত এ দলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের অনুশীলন ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্তটা মেনে নেওয়া কঠিন। ম্যাচ খেলার থেকে ভাল অনুশীলন কিছু হতে পারে না। নেটে যতই অনুশীলন করা হোক, ম্যাচের মতো হয় না। অনেক ক্ষণ নেটে সময় কাটানোর পরেও ম্যাচ খেলতে নেমে অল্প রানে আউট হয় ব্যাটারেরা। যে কারণে ভারত বিদেশের বার বার মাটিতে প্রথম টেস্ট হারে। তার পর সিরিজ়ে ফেরে। এই কারণেই অনুশীলন ম্যাচ খেলাটা জরুরি ছিল।”
গাওস্করের সংযোজন, “এটা ঠিক ভারত এ দলের বোলারেরা হয়তো মূল দলের ব্যাটারদের খুব কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলবে না। মূল ব্যাটারদের চোট লাগুক সেটা চাইবে না ওরা। কিন্তু তবুও ম্যাচ খেলা জরুরি। কারণ নেটে এক জন ব্যাটার তিন-চার বার আউট হলেও খেলতে পারে। তাই অনেক চাপমুক্ত ভাবে ব্যাট করে তারা। ম্যাচ খেললে সেটাই বদলে যায়। মানসিকতায় বদল হয়। ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা তৈরি হয়। বোলারেরাও একটা ছন্দ পায়।”