২০৩০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় মেসির আর্জেন্টিনা। ফাইল ছবি।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। লিয়োনেল মেসিদের সাফল্যে উৎসাহিত আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থা। এ বার তারা ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবিতে উরুগুয়ে, চিলি এবং প্যারাগুয়ের সঙ্গে হাত মেলাল আর্জেন্টিনা।
স্বপ্নের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় আর্জেন্টিনা। মঙ্গলবার দক্ষিণ আমেরিকার চারটি দেশ এক সঙ্গে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানিয়েছে ফিফার কাছে। দাবির সমর্থনে প্রচারও শুরু করেছে দেশগুলি। বলা হচ্ছে, ফুটবলপ্রেমীদের আকৃষ্ট করতে বলা হচ্ছে, ‘‘প্রতিযোগিতা ফিরে আসবে ফুটবলের জন্ম স্থানে।’’ তাদের এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি আলেজান্দ্রো ডমিনগুয়েস। তিনি বলেছেন, ‘‘২০৩০ সালের বিশ্বকাপ শুধু একটি বিশ্বকাপ হবে না। ১০০ বছরের উদযাপনের স্বীকৃতি হবে। আমরা নিশ্চিত ফিফা এই স্মৃতিকে সম্মান জানাবে। যাঁরা প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের মহান দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাঁদের সম্মানিত করবে।’’ উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার উরুগুয়েতে।
আর্জেন্টিনা চায়, দক্ষিণ আমেরিকার আরও দেশ আয়োজক হিসাবে যুক্ত হোক ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের সঙ্গে। বলিভিয়াকে এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট অ্যালবার্তো ফার্নান্ডেজ়। যদিও ফুটবল মাঠের চির প্রতিপক্ষ ব্রাজিলকে আহ্বান জানাননি তিনি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ক্লাউদিয়ো তাপিয়া বলেছেন, ‘‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসাবে দক্ষিণ আমেরিকার মানুষের এই স্বপ্নের সঙ্গে রয়েছি আমরা। শুধু বিশ্বকাপের শতবর্ষ নয়, এখানকার মানুষ ফুটবলের জন্য বাঁচেন। ফুটবলকে বাঁচিয়ে রাখেন।
২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবি জানানো চারটি দেশের মধ্যে তিনটি দেশেরই এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এক মাত্র প্যারাগুয়ে কখনও বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করেনি। ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার লড়াই হতে পারে তিন মহাদেশের মধ্যে। ইউরোপের দুই দেশ স্পেন এবং পর্তুগাল যৌথ ভাবে শতবর্ষের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়। যৌথ ভাবে লড়াইয়ে থাকতে পারে এশিয়ার দুই দেশ মরক্কো এবং সৌদি আরবও।