তুরস্কে ভূমিকম্পে চাপা পড়ে মৃত্যু হল ফুটবলারের। ছবি: রয়টার্স
তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হল সে দেশের এক গোলকিপারের। গত কয়েক দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল তল্লাশি চালাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ধ্বসংস্তূপের নীচ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর ক্লাবের তরফে টুইটারে মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হয়েছে।
তুরস্কের ওই গোলকিপারের নাম আহমেত এয়ুপ তুর্কসালান। তিনি খেলতেন ইয়েনি মালাতিয়াস্পরে। মঙ্গলবার রাতের দিকে তাঁর ক্লাবের তরফে লেখা হয়েছে, “ভূমিকম্পের জেরে আমাদের গোলকিপার আহমেত এয়ুপ তুর্কসালান প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা ওঁকে কোনও দিন ভুলব না।”
গোটা ফুটবলজীবনই তুরস্কের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন তুর্কসালান। বুগসাস্পর, ওসমানলিস্পর, উমরানিয়েস্পরে খেলার পর ইয়েনি মায়াতিয়াস্পরে যোগ দেন। তাঁর স্ত্রী কুবরাকে আগেই উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু তুর্কসালানকে বাঁচানো যায়নি। ভূমিকম্পের জেরে আপাতত তুরস্কের সব ফুটবল ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রয়াত এয়ুপ তুর্কসালান। ফাইল ছবি
তুর্কসালানের মৃত্যু হলেও খোঁজ মিলেছে ক্রিশ্চিয়ান আতসুর। তুরস্কে ভূমিকম্পের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন চেলসির প্রাক্তন ফুটবলার। মঙ্গলবার তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভূমিকম্পের পর তুরস্কে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আতসুকে খুঁজে না পেয়ে সেই আতঙ্কও তৈরি হচ্ছিল সমর্থকদের মনে। শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে তাঁকে। চোট রয়েছে আতসুর।
ঘানার ফুটবলার আতসু। ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব চেলসি এবং নিউক্যাসলে খেলেছেন তিনি। আতসু এখন খেলেন তুরস্কের ক্লাব হাতায়স্পরে। সেই ক্লাবটি অবস্থিত কাহরামানমারাস এলাকায়, যেখানে ভূমিকম্পের প্রভাব মারাত্মক। ৩১ বছরের ফুটবলার আটকে পড়েন সেখানে। তুরস্কের এক সাংবাদিক বলেন, “ক্রিশ্চিয়ান আতসু জীবিত। তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আটকে পড়েছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাঁর। ডান পায়ে চোট রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আতসুকে।”
শুধু আতসু নন, ওই ক্লাবের স্পোর্টিং ডিরেক্টর তানের সাভুটও আটকে পড়েছিলেন। আতসুকে পাওয়া গেলেও তাঁর খোঁজ এখনও চলছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই তিনি আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক বার ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। সে দেশের হাতাই প্রদেশের বিমানবন্দরে বিপর্যয়ের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ভূমিকম্পের চাপে আড়াআড়ি ভাবে ওই বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল ধরেছে।