ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার বিদায়ী সভাপতির বিরুদ্ধে বিচার চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। আদালতে এমনই জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের আইনজীবী অতুল শ্রীবাস্তব। তিনটি ধারায় মামলা চালানোর আর্জি জানানো হয়েছে।
শুক্রবার দিল্লির আদালতে উঠেছিল ব্রিজভূষণ মামলা। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগাট-সহ দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিরদের একাংশ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তের পর আদালতে গত ১৫ জুন ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। শুক্রবার শুনানিতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, ছ’বারের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে বিচার চালিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নগর দায়রা ম্যাজিস্ট্রেট হরজিৎ সিংহ যশপালের এজলাসে পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ। অভিযোগ রয়েছে সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন সহ-সচিব বিনোদ তোমরের বিরুদ্ধেও। দিল্লি পুলিশের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধেই যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা যেতে পারে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (কোনও মহিলার সম্মানহানীর উদ্দ্যেশে অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ) ৩৫৪ ‘এ’ (যৌন হেনস্থা), ৩৫৪ ‘ডি’ (গোপনে অনুসরণ করা) ধারায় ব্রিজভূষণকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে।
গত বুধবার দিল্লির রাউজ় অ্যাভিনিউ আদালতে আইনজীবী রাজীব মোহনের মাধ্যমে অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ব্রিজভূষণ। তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার পর পাঁচ-ছ’বছর পেরিয়ে গেলেও ভয়ের কারণে অভিযোগ না জানানোর যে যুক্তি কুস্তিগিরেরা দেখিয়েছিলেন, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পাঁচ-ছ’বছর অনায়াসে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেরিয়ে হঠাৎ করে যদি তাঁরা বলেন হুমকি দেওয়া হতে পারে, তা সঠিক ব্যাখ্যা হিসাবে গ্রহণ করতে পারে না আদালত। এছাড়াও তাঁর যুক্তি ছিল, যৌন নিগ্রহের ইচ্ছে ছাড়া কোনও মহিলাকে জড়িয়ে ধরা বা স্পর্শ করা অপরাধ নয়।
আগামী ১৯ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সে দিন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা সওয়াল করার সুযোগ পাবেন। গত ২০ জুলাই দুই অভিযুক্তকে ব্যক্তিগত ২৫ হাজার টাকার বন্ড এবং একাধিক শর্তে জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত।