ট্রেন্ট বোল্ট। ছবি: টুইটার।
২০১১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিউ জ়িল্যান্ডকে এখনও এক দিনের বিশ্বকাপ দিতে পারেননি। সেই আক্ষেপ এ বার ভারতের মাটিতে মেটাতে চান কিউয়ি জোরে বোলার।
২০১৯ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও ট্রফি জিততে পারেনি নিউ জ়িল্যান্ড। গত বছর ক্রিকেট নিউ জ়িল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করেননি ৩৪ বছরের জোরে বোলার। তাঁর নজরে এখন শুধু ৫০ ওভারের ক্রিকেট। টেস্ট বা টি-টোয়েন্টি নিয়ে ভাবছেন না।
আইপিএল খেলার সুবাদে ভারতের সব উইকেটই প্রায় চেনা বোল্টের। সেটাই তাঁকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য আগামী সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের এক দিনের সিরিজ় খেলবে নিউ জ়িল্যান্ড। ১৫ জনের দলে তাঁকে রেখেছে ক্রিকেট নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে প্রায় এক বছর পর দেশের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন বোল্ট। প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখছেন না। এক সাক্ষাৎকারে বোল্ট বলেছেন, ‘‘কালো জার্সিটা না পরতে পারায় খুব হতাশ লাগছিল। তবে আমার সিদ্ধান্ত অন্য ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দিয়েছে।’’ ইংল্যান্ড সিরিজ়ের দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বোল্ট। তিনি বলেছেন, ‘‘দলে সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি বিশ্বকাপের দলেও থাকব। বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দিতে মরিয়া আমি।’’
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, বাঁহাতি অভিজ্ঞ বোল্টকে দলে নেওয়ায় নিউ জ়িল্যান্ডের বোলিং শক্তি অনেকটা বাড়বে। লকি ফার্গুসন, টিম সাউদি, ম্যাট হেনরি, কাইল জেমিসন এবং বোল্টকে নিয়ে তৈরি নিউ জ়িল্যান্ডের জোরে বোলিং আক্রমণ বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা। বোল্ট নিজেও উত্তেজিত। ৩৪ বছরের ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘ভীষণ উত্তেজিত লাগছে। এ বার বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করব। আমাদের পক্ষে যতটা দেওয়া সম্ভব ততটাই দেব।’’
বোল্ট জানিয়েছেন, গত বছর ক্রিকেট নিউ জ়িল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত সহজ ছিল না। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশ না ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি— এই দ্বন্দ্ব আমার ছিল না। আমার কাছে নিউ জ়িল্যান্ড সব সময় আগে। নিজের ক্রিকেটজীবন দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিলাম। যত দিন খেলব, তত দিন বোলার হিসাবে সেরাটাই দেওয়া লক্ষ্য। আগের মতো এখনও দেশের হয়ে সফল হওয়ার খিদে রয়েছে আমার।’’
বোল্ট এখনও পর্যন্ত ৯৯টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১৮৭টি উইকেট নিয়েছেন। দেশের হয়ে গত ৩৫টি ম্যাচে তিনি মাঠে নামেননি। এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করাই এখন এক মাত্র লক্ষ্য বোল্টের।