মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা লাল-হলুদের। — নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। ক্লাবের কর্তারা মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান। তাঁকে লোকসভা ভোটে ভাল ফলের জন্য অভিনন্দন জানান। খেলাধুলো নিয়ে মমতার উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন লাল-হলুদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের আশা, আগামিদিনেও মমতা একই ভাবে খেলার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাবেন।
২০২১-এর নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের স্লোগান ছিল ‘খেলা হবে’। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর খেলাধুলোয় ভালবাসার কথা অজানা নয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মমতার এই ক্রীড়াপ্রেমের হাতেগরম প্রমাণ পেয়েছে এ রাজ্যের ক্রীড়ামহল। কলকাতা ময়দানের একটি অংশ মনে করে, রাজনৈতিক ভাবে মমতার হাত শক্ত হওয়ার অর্থ খেলাধুলোর প্রতি প্রশাসনিক মনোযোগও অব্যাহত থাকা। তাই, লোকসভা ভোটে ভাল ফল করার পর মমতার কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন শতবর্ষ পেরোনো ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধিরা।
প্রসঙ্গত, মোহনবাগান, মহামেডান বা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক আজকের নয়। অনেকেই মনে করেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব যে আইএসএল খেলছে, তার কৃতিত্ব অনেকটাই মুখ্যমন্ত্রীর। মমতাই ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে দেশের সেরা লিগে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। তার পর স্পনসর নিয়ে সমস্যার সময়ও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন লাল-হলুদের পাশে। নবান্নে স্পনসরদের সঙ্গে চুক্তিও হয়েছিল মমতার পৌরহিত্যেই। ওড়িশায় গিয়ে সুপার কাপ জয়ের পর কাপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। সে বারও লাল-হলুদ সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মমতা। একাধিক বার ক্লাব তাঁবুতেও দেখা গিয়েছে ক্রীড়াপ্রেমী মুখ্যমন্ত্রীকে। সব মিলিয়ে, লাল-হলুদ, সবুজ-মেরুন কিংবা সাদা-কালো— মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে পেয়েছে যখনই প্রয়োজন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দুই কর্তা দেবব্রত সরকার এবং রূপক সাহা বুধবার সন্ধ্যায় যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। হাতে ছিল মিষ্টির হাঁড়ি। মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর হাতে মিষ্টির হাঁড়ি তুলে দেন দেবব্রত। রূপক মুখ্যমন্ত্রীকে পরিয়ে দেন লাল-হলুদ উত্তরীয়। মুখ্যমন্ত্রী হাসিমুখে তা গ্রহণ করেন। অভিনন্দন জানান লাল-হলুদের কর্মকর্তা এবং লাখো সমর্থককে।
বেশ কিছু ক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন দেবব্রত এবং রূপক। দেবব্রত বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি খেলাধুলোর জন্য অনেক কিছুই করেছেন। তাতে আমরা খুশি। আমরা চাই, আরও করুন। সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তিন ক্লাবের সমর্থকেরাই। ফলে সকলের জন্যই আপনি আরও খেলাধুলো নিয়ে কাজ করুন, এটাই প্রত্যাশা। উনি খুবই ইতিবাচক।’’