পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য কোনও ধরনের ড্রাগ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন দ্যুতি। ফাইল ছবি
জাতীয় ডোপ বিরোধী সংস্থা (নাডা) তাঁকে নির্বাসিত করে দিয়েছে। কিন্তু সেই খবর জানেনই না ভারতের দ্রুততমা দৌড়বিদ দ্যুতি চন্দ। কোনও ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন দ্যুতি। তবে এটাও জানিয়েছেন, বছর দেড়েক আগে একটি ওষুধ খেয়েছিলেন, যা থেকে নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
এক ওয়েবসাইটে দ্যুতি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে ফিরে ইমেল খুলে দেখবেন নির্বাসন সংক্রান্ত কোনও চিঠি তাঁর কাছে এসেছে কিনা। বুধবার সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার কারণে সময় পাননি। তার ফাঁকেই বলেছেন, “এর আগে ২০১৪-তেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজম পরীক্ষার পর আমাকে পুরুষ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (ক্যাস) আবেদন করে জিতেছি।”
পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য কোনও ধরনের ড্রাগ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন দ্যুতি। সাম্প্রতিক কালে কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি বলেও জানিয়েছেন। দ্যুতির কথায়, “২০২১-এ পাতিয়ালার শিবিরে কোমরের চোট পাওয়ায় কিছু ওষুধ খেয়েছিলাম। তখন সামনে কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। ব্যথা কমাতেই ওই ওষুধগুলো খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। জানি না এত দিন পর নমুনায় তার কোনও প্রভাব পড়েছে কিনা। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রয়েছে কিনা সেটাও দেখতে হবে।”
গত ৫ ডিসেম্বর প্রতিযোগিতা-বহির্ভূত ডোপ পরীক্ষা হয় দ্যুতির। এটি নিয়মের মধ্যেই রয়েছে। দ্যুতি নিজেও জানিয়েছেন, দু’বার তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ ওষুধ নিয়েছেন, সেটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না। বলেছেন, “যদি সত্যি হয়, তা হলে আমার দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষা করার আবেদন জানাব।” প্রসঙ্গত, প্রথম নমুনা নাডা নিজেরাই পরীক্ষা করে। যদি সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার সময় অভিযুক্ত ক্রীড়াবিদ নিজে, তাঁর কোচ এবং আইনজীবী হাজির থাকতে পারেন।