এই বিশ্বকাপ ট্রফির জন্যই লড়াই। —ফাইল চিত্র।
আটটি দল বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে ফেলেছে। বাকি রয়েছে দু’টি জায়গা। সেটার জন্য লড়বে ১০টি দল। জ়িম্বাবোয়ের মাটিতে হবে সেই ম্যাচগুলি। ইতিমধ্যেই সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে শুরু করে দিয়েছে ১০ দল। রবিবার থেকে শুরু হবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব।
যে ১০টি দল বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করবে তাদের দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি গ্রুপে রয়েছে নেপাল, নেদারল্যান্ডস, আমেরিকা, জ়িম্বাবোয়ে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। অন্য একটি গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, ওমান, স্কটল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। দু’টি গ্রুপ থেকে তিনটি করে দল উঠবে সুপার সিক্সে। সেখানে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে সব দল। সেটার শেষে যে দুই দল সবার উপরে থাকবে তারা যোগ্যতা অর্জন করবে বিশ্বকাপে।
প্রথম গ্রুপে থাকা ক্যারিবিয়ান দল দু’বারের বিশ্বকাপজয়ী। তাদের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। যে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটাররা দাপট দেখান। শতরান করেন রভমান পাওয়েল। নিকোলাস পুরান করেন ৭৪ রান। ৩৭৪ রান তোলে তারা। যদিও এক সময়ে ন’বলে তিন উইকেট হারিয়েছিল তারা। ১৯৮ রানে ৭ উইকেট চলে গিয়েছিল পুরানদের। সেখান থেকে পাওয়েল এবং কিমো পল ১৩৯ রানের জুটি গড়েন। আমিরশাহির হয়ে শতরান করেন বাসিল হামিদ। কিন্তু তাও ১১৪ রানে হেরে যান তাঁরা।
অন্য ম্যাচে, জিম্বাবোয়ে দাপট দেখায় স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে। স্কটল্যান্ডকে ১৬৩ রানে শেষ করে দেয় তারা। ২৫ ওভারেই সেই রান তুলে নেয় জিম্বাবোয়ে। সিকান্দর রাজা ২৮ বলে ৪৪ রান করেন। ক্রিস এরভিন ৩৭ রান করেন। তাঁরাই জিতিয়ে দেন দলকে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে শতরান করেন দিমুত করুণারত্নে এবং কুশল মেন্ডিস। ১৯৮ রানে তারা হারিয়ে দেয় আমেরিকাকে। শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে ৩৯২ রান করে। করুণারত্নে নামেন সপ্তম ওভারে। সেই সময় ক্রিজে ছিলেন মেন্ডিস। তাঁরা ১৯১ রানের জুটি গড়েন। মেন্ডিস ৯১ বলে ১০৫ রান করেন। করুণারত্নে ১১১ রান করেন। চারিথ অসলঙ্ক এবং দাসুন শনাকা মিলে ১১২ রানের জুটি গড়েন। মিডল অর্ডারেও শ্রীলঙ্কার ছন্দে থাকার বার্তা দিয়ে রাখলেন তাঁরা। আমেরিকা শেষ হয়ে যায় ১৯৪ রানে।
রবিবার থেকে শুরু হবে যোগ্যতা অর্জন পর্বের খেলা। ফাইনাল ৯ জুলাই। সেই ফাইনালে যে দু’টি দল খেলবে তারাই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলবে।