মহম্মদ শামি। ছবি: রয়টার্স।
ধর্মশালার মাঠে মহম্মদ শামি যে ঝড় তুললেন, তাতে রোহিত শর্মাদের চিন্তা বাড়তে পারে। এ বারের বিশ্বকাপে এই প্রথম শামিকে খেলানো হল। আর তাতেই ৫ উইকেট তুলে নিলেন তিনি। এর পরেও কি বসিয়ে রাখা হবে শামিকে?
রবিবার হার্দিক পাণ্ড্য খেলতে পারেননি। তাঁর চোট ছিল। সেই জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয় শামিকে। শার্দূল ঠাকুরকে বসিয়ে দেওয়া হয়। অলরাউন্ডার হার্দিকের জায়গায় কোনও ব্যাটারকে দলে নিলে শার্দূল-সহ পাঁচ বোলারকে নিয়ে খেলতে হত ভারতকে। কিন্তু বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচেই শার্দূলকে দিয়ে ১০ ওভার করানো হয়নি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক বাদ হয়ে যেতে শার্দূলকে ৯ ওভার বল করতে হয়। কিন্তু তাঁকে দিয়ে ১০ ওভার বল করানো বেশ কঠিনই মনে হয়েছে। সেই কারণেই হার্দিক না থাকায় ভারতীয় দল এমন এক জন বোলারকে দলে নেয় যিনি ১০ ওভার বল করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ব্যাটিংয়ের গভীরতা বৃদ্ধি করতে শার্দূলকে বাদ দিয়ে দলে নেওয়া হয় সূর্যকুমার যাদবকে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পরের ম্যাচে হার্দিক দলে ফিরলে কি বাদ পড়বেন শামি? বাংলার পেসার ৫ উইকেট নেওয়ায় চাপ বেড়ে গিয়েছে রোহিতদের। আগামী দিনে প্রথম একাদশ ঠিক করা বেশ কঠিন হতে চলেছে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের জন্যেও। কাকে বাদ দেবেন তাঁরা?
লখনউ ম্যাচে দলে ফিরবেন হার্দিক। তিনি দলে ফিরলে কি সূর্যকুমারকে বাদ দেওয়া হবে? হার্দিক অলরাউন্ডার। তিনি ব্যাটিংয়ে ভরসা দিতে পারেন। তাই সূর্যকে বাদ দিয়ে তাঁকে নেওয়া হতেই পারে। কিন্তু ভারত কি তাহলে শামির সঙ্গে মহম্মদ সিরাজ এবং যশপ্রীত বুমরাকে নিয়েই দল গড়বে? তিন পেসারের সঙ্গে হার্দিক। সঙ্গী দুই স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব।
বিশ্বকাপে ভারত দুই পেসার নিয়েই খেলছে। হার্দিক দলে ফেরার পর আবার সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে হলে বাদ দিতে হবে এক পেসারকে। তখন কি শামিকেই বাদ দেওয়া হবে? এ বারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সিরাজ ৬ উইকেট নিয়েছেন। শামি রবিবার একটি ম্যাচেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এর পরে কি শামিকে বসিয়ে সিরাজকে প্রথম একাদশে নেওয়া উচিত হবে? ভাবতে বসতে হবে রোহিত, রাহুলদের।