শেষ কয়েক ওভার উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না দীনেশ কার্তিক। ছবি: টুইটার
এ বার ম্যাচের মাঝেই চোট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের মাঝেই ধাক্কা খেল ভারত। পিঠে চোট পেলেন দীনেশ কার্তিক। শেষ কয়েক ওভার উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না তিনি। নামতে হল ঋষভ পন্থকে।
সমর্থকদের প্রশ্ন বাকি ম্যাচগুলিতে কার্তিককে পাওয়া যাবে তো? উত্তর দিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ভারতীয় পেসার বলেন, “পিঠে সমস্যা রয়েছে কার্তিকের। ম্যাচের পর আর ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। হোটেলে ফিরে কথা বলব ওর সঙ্গে। ফিজিয়ো কী বলছে সেটাও জানতে হবে।”
বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে ব্যাট হাতে রান পাননি কার্তিক। উইকেটের পিছনে দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। যদিও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সহজ সুযোগ হারান তিনি। সেই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামার আগে আলাদা করে অনুশীলন করেন কার্তিক। উইকেটের পিছনে তিনি যাতে নিজের সেরাটা দিতে পারেন, সেই দিকে নজর দিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়রা। পার্থে অনুশীলনে দেখা গিয়েছিল কার্তিকের সঙ্গে আলাদা করে সময় দিচ্ছেন ফিল্ডিং কোচ টি দিলিপ। ‘ব্লাইন্ড ড্রিলস’ করেন কার্তিক। এমন কোণ থেকে বল ছোড়া হয় যেখানে উইকেটরক্ষক বলটিকে শেষ মুহূর্তের আগে দেখতে পাবেন না। ব্যাটারের কারণে ঢেকে যায় বলটি। এমন অবস্থায় উইকেটরক্ষকের অনুমান ক্ষমতার উপর নির্ভর করতে হয়। সেটারই অনুশীলন করছিলেন কার্তিক।
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পিঠে চোট পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২ নভেম্বর কার্তিক খেলতে পারবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। ভারতীয় দলে ঋষভ পন্থ থাকায় যদিও উইকেটরক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না ভারতকে। দিল্লির বাঁহাতি ব্যাটার নেটেও অনুশীলন করছেন নিয়মিত। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখনও প্রথম একাদশে খেলেননি তিনি। রবিবার উইকেটরক্ষা করতে দেখা গেল তাঁকে। তার আগে নেটে পন্থকে দেখা গিয়েছিল বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে। একের পর এক বোলারের বিরুদ্ধে তাঁকে একই ভাবে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছিল। এক সমর্থক তা দেখে চিৎকার করে বলেন, “আপনি ওপেন করুন, ভারতের খেলা বদলে যাবে।”
রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ১৩৩ রান তোলে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ৪০ বলে ৬৮ রান করেন। তিনি ছাড়া বাকি কোনও ব্যাটার সে ভাবে রান পাননি। রোহিত ফিরে যান মাত্র ১৫ রানে। বিরাট করেন ১২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে দু’বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম এবং মিলারের ৭৬ রানের ইনিংসই শেষ করে দেয় ভারতকে।