টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে কী বললেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা? ছবি: টুইটার
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হারের পিছনে ফিল্ডিংকে দায়ী করছেন সকলে। ব্যতিক্রম নন রোহিত শর্মাও। ভারত অধিনায়ক বলেই দিলেন দলের খারাপ ফিল্ডিংয়ের কথা। ১৩৩ রানের পুজি নিয়ে লড়তে গেলে ফিল্ডিং ভাল করা জরুরি। সেটাই পারলেন না রোহিতরা। যে দলে বিরাট কোহলির মতো ফিল্ডার রয়েছেন, তাঁরাই ডোবালেন ভারতকে। এর পিছনে কি পার্থের ঠান্ডা দায়ী?
ম্যাচ শেষে রোহিত কোনও অজুহাত দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “কোনও অজুহাত দেব না। সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছি। এরকম ঠান্ডাতে আগেও খেলেছি আমরা। রান আউটের সুযোগ ফস্কেছি। আমি নিজেই সহজ সুযোগ পেয়েছিলাম। আমাদের আরও ধারাবাহিক হতে হবে ফিল্ডিংয়ে।” ১২তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ক্যাচ ফেলেন বিরাট। দিনের সহজতম ক্যাচ সম্ভবত ওটাই ছিল। কিন্তু বল ধরতেই পারলেন না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় অশ্বিনকেও। পরের ওভারে মহম্মদ শামির ওভারে রান আউটের সুযোগ ফস্কান রোহিত। স্টাম্পের কাছে পৌঁছে গিয়েও বল উইকেটে লাগাতে পারলেন না ভারত অধিনায়ক।
রবিবার প্রথম একাদশে দীপক হুডাকে নেন রোহিত। সেই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোহিত বলেন, “এই আবহাওয়ায় এমন পিচই আশা করেছিলাম আমরা। পেসাররা এই পিচে সাহায্য পাবে সেটা জানতাম। সেই কারণে ১৩০ রান তাড়া করে জেতা সহজ ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করলাম। ডেভিড মিলার এবং এডেন মার্করাম খুব ভাল খেলেছে। কিন্তু ফিল্ডিংটাই ভাল হল না আমাদের।”
অশ্বিন ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন। ভারতের হারের পিছনে তিনিও দায় এড়িয়ে যেতে পারবেন না। রোহিত যদিও পাশে দাঁড়ালেন ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনারের। অধিনায়ক বলেন, “শেষ দিকে স্পিনারদের কী অবস্থা হতে পারে তা আমরা দেখেছি। অশ্বিনকে তাই শেষ ওভার করাতে চাইনি। পেসারদের দিয়ে শেষ করাতে চেয়েছিলাম। জানতাম নতুন ব্যাটাররা সমস্যায় পড়বে। সেই সময় অশ্বিনের বল করা একদম সঠিক ছিল।”
প্রথমে ব্যাট করে ১৩৩ রান তোলে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ৪০ বলে ৬৮ রান করেন। তিনি ছাড়া বাকি কোনও ব্যাটার সে ভাবে রান পাননি। রোহিত ফিরে যান মাত্র ১৫ রানে। বিরাট করেন ১২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে দু’বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। মার্করাম এবং মিলারের ৭৬ রানের ইনিংসই শেষ করে দেয় ভারতকে।