অধিনায়ক হিসাবে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ রোহিত শর্মা। তাঁর খেসারত কি দিতে হবে রোহিতকে? —ফাইল চিত্র
নতুন নির্বাচক কমিটি দায়িত্ব নিলেই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে রোহিত শর্মাকে। বদলে অধিনায়ক করা হতে পারে হার্দিক পাণ্ড্যকে। শুধু তাই নয়, দলে আরও বেশ কিছু বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন নির্বাচক কমিটিকে প্রধানত আটটি দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেগুলি হল:
বিসিসিআই সূত্রে খবর, নতুন কমিটির প্রথম কাজ হবে তিনটি ফরম্যাটের অধিনায়ক নির্বাচন করা। তা থেকেই মনে করা হচ্ছে, দু’জন আলাদা অধিনায়কের পথে হাঁটতে পারে বোর্ড। টেস্ট ও এক দিনের অধিনায়ক থেকে যাবেন রোহিত। কিন্তু টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসাবে তাঁর জায়গায় বসতে পারেন হার্দিক। এমনিতেই আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সকে চ্যাম্পিয়ন করার পর থেকে হার্দিককে ভারতের ছোট ফরম্যাটের অধিনায়ক করার বিষয়ে সওয়াল করেছেন সুনীল গাওস্কর, রবি শাস্ত্রীরা। বিসিসিআইও হয়তো সে কথাই ভাবছে। অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক ছাড়া যশপ্রীত বুমরার কথা ভাবা হলেও বুমরার চোটপ্রবণতা তাঁর অধিনায়ক হওয়ার পথে বাধা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু অধিনায়কত্ব ভাগ করে দেওয়া নয়, ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেও ব্যাপক বদল হতে পারে। ২০২১ ও ২০২২, দু’বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পরে অনেক বেশি তরুণ ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে বোর্ড। সেই সঙ্গে যত বেশি সম্ভব অলরাউন্ডার ও টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞদের খেলানোর কথা ভাবা হচ্ছে। কাদের টি-টোয়েন্টি দলে খেলানো যায় সেটা ভাবতে হবে নতুন কমিটিকে।
শুক্রবার বিকালে প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা-সহ পুরো নির্বাচক কমিটিকে সরিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। নতুন নির্বাচক নিয়োগ করতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বোর্ড। সেখানে লেখা হয়েছে, পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্যে পাঁচ জন জাতীয় নির্বাচক আহ্বান করা হচ্ছে। যোগ্যতা হিসাবে ভারতের হয়ে কমপক্ষে সাতটি টেস্ট ম্যাচ খেলা, বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা ১০টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে। অন্তত পাঁচ বছর আগে অবসর নিয়েছেন এমন প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। বোর্ডের কোনও ক্রিকেট কমিটিতে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন, এ রকম কেউ আবেদন করতে পারবেন না। ২৮ নভেম্বর সন্ধে ৬টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বিশ্বকাপের পরই যে নির্বাচক কমিটিতে বদল হতে চলেছে, এ কথা আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু পুরো নির্বাচক কমিটিকে যে এ ভাবে ছেঁটে ফেলা হবে, এটা কেউই ভাবতে পারেননি। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ নিয়েও। তাঁকে ইদানীং ঘন ঘন ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও। দ্রাবিড়ের ভূমিকাও আতশকাচের তলায়। কিন্তু এখনই তাঁর চাকরি যাওয়ার ভয় নেই বলে বোর্ড সূত্রে খবর।