রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
একে তো তাঁর ব্যাটে রান নেই। তার উপরে দলকেও ভাল ভাবে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। হেরেই চলেছে ভারত। মেলবোর্নে হারের পর রোহিত শর্মা নিজেই স্বীকার করলেন, তিনি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। কারণ, তিনি যা-ই করছেন সবই ভুল হচ্ছে। নিজের দিকে নজর দিতে চান বলে জানিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।
তিন টেস্টে রোহিতের নামের পাশে মাত্র ৩১ রান। সেখানে জসপ্রীত বুমরাহ একাই নিয়েছেন ৩০টি উইকেট। রোহিতের টেস্ট অবসর নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অধিনায়ক বা ব্যাটার হিসাবে তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে? মানসিক ভাবেও কি ঠিক জায়গায় আছেন? প্রশ্ন অনেক। তবে রোহিত উত্তর দিতে গিয়ে খুব বেশি সময় নেননি।
মেলবোর্ন টেস্টের পর রোহিত বলেছেন, “আমি জানি কোথায় দাঁড়িয়ে। অতীতের কথা ভেবে সময় নষ্ট করতে চাই না। কিছু ফলাফল আমাদের পক্ষে যায়নি ঠিকই। অধিনায়ক হিসাবে বেশ হতাশ লাগছে।”
এর পরেই আক্ষেপের সুরে রোহিত বলে চললেন, “অনেক কিছুই করার চেষ্টা করছি। কোনও কিছুই ঠিকঠাক হচ্ছে না। মানসিক ভাবে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক। যদি আপনি ক্রিজে নেমে কোনও কিছু চেষ্টা করেন এবং সেটা সফল ভাবে করতে না পারেন তা হলে হতাশ তো হবেনই। কী আর করা যাবে। পরিস্থিতি এখন এমনই।”
অবসরের জল্পনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি রোহিত। তিনি বলেছেন, “দল হিসাবে অনেক কিছুর দিকে নজর দিতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমিও কয়েকটা জিনিস নিয়ে ভাবছি। দেখা যাক কী হয়। আর একটা ম্যাচ বাকি। ভাল খেলতে পারলে ২-২ করতে পারব। সিরিজ় ড্র হবে।”
৩১ ডিসেম্বর সিডনির উদ্দেশে রওনা হবে ভারত। পরের টেস্টের আগে মাত্র দু’দিন সময় হাতে। রোহিত মেনে নিচ্ছেন, প্রস্তুতির সময় কম পাবেন। বলেছেন, “যথেষ্ট সময় নেই। তবে হাল ছাড়তে চাই না। সিডনিতে খেলতে নামার সময় প্রত্যেকেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। অস্ট্রেলিয়া এসে খেলা মোটেই সহজ কাজ নয়। সিডনিতে আর একটা সুযোগ রয়েছে আমাদের কাছে।”
মেলবোর্নে টানা বল করতে করতে এক সময়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। রোহিতও মেনে নিয়েছেন, বুমরাকে দিয়ে বেশি বল করিয়ে ফেলেছেন। বলেছেন, “সত্যি বলতে ও অনেক বল করেছে। প্রতিটা টেস্টেই বোলারদের ওয়ার্কলোডের বিষয়টা আমাদের মাথায় থাকে। তবে কোনও বোলার ফর্মে থাকলে তাঁকে একটু বেশি ব্যবহার করাতেও হয়। সেটাই করেছি বুমরাহের ক্ষেত্রে। মেনে নিচ্ছি, মাঝেমাঝে একটু পিছোতেও হবে।”
নীতীশ রেড্ডির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রোহিত। বলেছেন, “প্রথম বার দেখার পরেই বুঝেছিলাম ওর মধ্যে অনেক প্রতিভা রয়েছে। তার জন্যই দলে এসেছে। সেটা নীতীশ দেখিয়ে দিয়েছে। অসাধারণ ব্যাট করেছে। ভারতে প্রতিভার অভাব নেই। এখনই বলতে চাই না ও কত দূর যাবে। তবে ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হওয়ার প্রতিভা ওর মধ্যে রয়েছে।”