কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বাংলার ব্যাটিং মনোজ তিওয়ারিদের চিন্তায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। —ফাইল চিত্র
ইডেনে ১০০ রানে শেষ বাংলার প্রথম ইনিংস। ফলো অন করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে সাজঘরে ওপেনার করণ লাল। ওড়িশার বিরুদ্ধে বাংলার ব্যাটিংয়ের দুর্দশা সামনে চলে এল। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে যা লক্ষ্মীরতন শুক্ল, মনোজ তিওয়ারিদের চিন্তায় ফেলার জন্য যথেষ্ট। সঙ্গে রয়েছে একাধিক ক্রিকেটারের চোট।
রঞ্জির গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি বাংলা এবং ওড়িশা। যে ম্যাচের গুরুত্ব বাংলার কাছে তেমন নেই। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন মনোজরা। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের প্রস্তুতিটা ঘরের মাঠে সেরে রাখতে চেয়েছিলেন কোচ লক্ষ্মী। সেটা খুব ভাল হল না। প্রথম ইনিংসে ওড়িশা ২৬৫ রান তোলে। মুকেশ কুমার এবং শাহবাজ় আহমেদ এই ম্যাচে নেই। তাঁরা জাতীয় দলে রয়েছেন। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই মাথায় চোট পাওয়ার পর বল করতে পারেননি আকাশ দীপও। তিন প্রধান বোলার ছাড়া বাংলার বোলিং আক্রমণ যে শক্তি হারিয়েছিল তা বলাই যায়। সেই বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো রান তুলে নেয় ওড়িশা।
ব্যাট করতে নেমেও বিপর্যয়। ফিল্ডিং করতে গিয়ে আঙুলে চোট পাওয়া অনুষ্টুপ মজুমদার ব্যাট করতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে তাঁকে খেলিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি বাংলা শিবির। ১০০ রানেই ৯ উইকেট হারায় বাংলা। অনুষ্টুপ না নামায় সেখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। ফলো-অন করায় ওড়িশা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবার ব্যর্থ ওপেনার করণ। ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ক্রিজে রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরন এবং সুদীপ ঘরামি। ২৩.১ ওভার শেষে বাংলা ১ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করেছে। এখনও ৯৬ রানে পিছিয়ে তারা।
এই ম্যাচের ফলের উপর বাংলার কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া নির্ভর করছে না। তাই কিছুটা নিশ্চিন্ত বাংলা শিবির। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালের আগে বাংলার ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা দিতেই পারে এই ম্যাচ। লক্ষ্মী যদিও সেটা একা বারেই চাইবেন। শেষ রঞ্জি খেলতে নামা মনোজ চাইবেন ট্রফি জিতে শেষ করতে। সেটা করতে হলে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে এই ম্যাচকে ভুলে যেতে চাইবেন তাঁরা।