ICC ODI World Cup 2023

নজির থেকে ১০৯ রান দূরে রাচিন, তবু এখনই তিনি সচিনের ‘পাশে’! কী ভাবে?

সচিনের প্রিয় ওয়াংখেড়েতে তাঁরই একটি রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন রাচিন। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে নিউ জ়িল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডারকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪০
Share:

রাচিন রবীন্দ্র। —ফাইল চিত্র।

ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড সেমিফাইনালের অন্যতম আকর্ষণ রাচিন রবীন্দ্র। বেঙ্গালুরুতে যাঁর শিকড়, তিনিই বুধবার রোহিত শর্মাদের উদ্বেগের অন্যতম কারণ। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে একাই জয় ছিনিয়ে নিতে পারেন তিনি। ছিনিয়ে নিতে পারেন সচিন তেন্ডুলকরের একটি রেকর্ড। তবে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সচিনের মূর্তির সঙ্গে তাঁর একটি পুরনো ছবি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি।

Advertisement

রাচিনের নামের ‘চিন’ সচিনের নাম থেকে এসেছে কিনা, তা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি। সেই রাচিনের হাতেই ভেঙে যেতে পারে সচিনের বিশ্বকাপের রেকর্ড। তাও সচিনের ঘরের মাঠে। এ বারের বিশ্বকাপে লিগের ন’টি ম্যাচে রাচিন করেছেন ৫৬৫ রান। আর ১০৯ রান করতে পারলে একটি বিশ্বকাপে সচিনের করা সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙে দেবেন রাচিন। ২০০৩ বিশ্বকাপে মোট ৬৭৩ রান করেছিলেন সচিন। যা একটি বিশ্বকাপে কোনও ক্রিকেটারের করা সব থেকে বেশি রান। সচিনের ভক্ত রাচিন। সেমিফাইনালের আগে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সচিনের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন কিউয়ি অলরাউন্ডার। তবে সিডনিতে সচিনের মোমের মূর্তির সঙ্গে তাঁর একটি পুরনো ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা তৈরি হতে।

রাচিন এ বারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন। প্রায় প্রতি ম্যাচে রান করছেন। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিনটি শতরান এসেছে রাচিনের ব্যাট থেকে। টেস্ট অভিষেকেও ভারতকে ভুগিয়েছিলেন রাচিন। ২০২১ সালের সেই টেস্টে আজাজ় পটেলের সঙ্গে দশম উইকেটের জুটিতে ৮.৪ ওভার ব্যাট করে ভারতের জয় আটকে দিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের লিগ পর্বের ম্যাচে রোহিতদের জয় আটকাতে পারেননি রাচিন। তবু সেমিফাইনালের আগে তাঁকে নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে ভারতীয় শিবিরে।

Advertisement

সচিন এবং রাহুল দ্রাবিড়ের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ছেলের নাম রাখেননি বলে জানিয়েছেন রাচিনের বাবা, রবি বলেছেন, ‘‘রাচিনের জন্মের সময় আমার স্ত্রী এই নামটা প্রস্তাব করেছিলেন। আমরা ছেলের নাম নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করিনি। আমার নামটা শুনতে বেশ ভালই লেগেছিল। ছোট এবং উচ্চারণ করা সহজ। তাই আমরা রাচিন নামটাই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কয়েক বছর পর আমরা বুঝতে পেরেছিলাম সচিন এবং দ্রাবিড়ের নামের কয়েকটা অক্ষর আমাদের ছেলের নামে রয়েছে এবং সে অক্ষরগুলো দিয়েই নামটা হয়েছে। এটা কাকতালীয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement