বাবর আজ়ম। — ফাইল চিত্র।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য পাকিস্তানের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাঠানো হয়েছিল অ্যাবোটাবাদের সেনা স্কুলে। মূলত ফিটনেস বৃদ্ধির জন্য বাবর আজ়মদের সেনা প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। সেই শিবিরই এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে পাকিস্তানের।
সেনা স্কুলে প্রশিক্ষণের পর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলছে পাকিস্তান। তিনটি ম্যাচেই বাবরের দলের দু’জন ক্রিকেটার চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন আজ়ম খান। রবিবার তৃতীয় ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মহম্মদ রিজ়ওয়ান। তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। দু’জনেই সিরিজ়ের বাকি ম্যাচগুলি আর খেলতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, সেনা প্রশিক্ষণের ধকল কি সামলাতে পারছেন না পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা?
পাকিস্তানের অস্থায়ী কোচ আজহার মেহমুদ দুই ক্রিকেটারের চোটের কথা জানালেও সেনা প্রশিক্ষণ নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি। প্রাক্তন অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘প্রশিক্ষণ শিবিরে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছিল ক্রিকেটারেরা। ছেলেদের শরীরের উপর যথেষ্ট ধকল গিয়েছে। দলে একাধিক ক্রিকেটারের ছোটখাটো চোট রয়েছে। সামনে বিশ্বকাপ। একটু তো চিন্তা হবেই। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে আজ়ম এবং রিজ়ওয়ান কবে মাঠে ফিরতে পারবে। আশা করব বিশ্বকাপে ওরা খেলতে পারবে। ফিটনেস সমস্যার জন্য ইরফান খানও এই সিরিজ় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। বিশ্বকাপের আগে পরিস্থিতি কিছুটা তো উদ্বেগের বটেই।’’
সেনাকর্তাদের নজরদারিতে ফিটনেস ট্রেনিং করেছিলেন বাবরেরা। তার পরেও কেন একের পর এক ক্রিকেটার চোট পাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাকি দু’টি ম্যাচে আর কেউ চোট পেলে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনই কঠিন হতে পারে পাকিস্তানের জন্য।