রজত পাটীদার। ছবি: আরসিবি।
ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রজত পাটীদার। তাঁর ২৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। পাটীদারের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরাও। এ বারের আইপিএলে বেঙ্গালুরু প্রত্যাশিত সাফল্য না পেলেও ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছেন পাটীদার। বেঙ্গালুরুর জার্সিতে আইপিএল উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে সুযোগ পাওয়ার খবর প্রথম তাঁকে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
আইপিএলের ব্যস্ততার মধ্যে বেঙ্গালুরুতে যোগ দেওয়ার স্মৃতিচারণা করেছেন পাটীদার। ইডেন গার্ডেন্সের গ্যালারিতে বসে তিনি বলেছেন, ‘‘সবার জীবনে একটা দিন থাকে, যে দিনটা জীবন বদলে দেয়। বেঙ্গালুরুতে যোগ দেওয়ার দিনটাও আমার কাছে অনেকটা সে রকম।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘আমার পরিবারে কেউ কখনও খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তবে বাবা-মা আমাকে সব সময় উৎসাহ দিতেন। আমাকে অন্য কিছু করার জন্য চাপ দেওয়া হয়নি। একটু পড়াশোনা করতে বলতেন বাবা-মা। কিন্তু কখনও পারিবারিক ব্যবসা দেখার কথা বলেননি। ছোট থেকে ক্রিকেটে আগ্রহ ছিল আমার। সচিন তেন্ডুলকর আমার আদর্শ। রাহুল দ্রাবিড়ের খেলাও ভাল লাগত। এখন যেমন কোহলি এবং রোহিত শর্মার ব্যাটিং দেখে শেখার চেষ্টা করি।’’ ছোট বেলার কোচ ছাড়াও এই পর্যন্ত আসার জন্য পাটীদার কৃতিত্ব দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতকে। বলেছেন, ‘‘দুই স্যর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন। যা কিছু শিখেছি প্রায় সবই তাঁদের কাছে।’’
প্রথম বার বেঙ্গালুরু যখন তাঁকে পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসাবে নিয়েছিল, তখন তাঁর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়ে পিছিয়ে দিয়েছিলেন বিয়ের দিন। পাটীদার বলেছেন, ‘‘যখন জানতে পেরেছিলাম আমাকে বেঙ্গালুরু নেবে, খুব আনন্দ হয়েছিল। বলতে পারেন ওটাই আমার জীবনের সব থেকে খুশির মুহূর্ত। কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্সদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাব ভেবে খুশি হয়েছিলাম।’’ ক্রিকেটজীবনের স্মরণীয় দিন হিসাবে বেছে নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের হয়ে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এবং ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়ার দিন দু’টিকে।