জাতীয় সঙ্গীতের সময় নেদারল্যান্ডস দল। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন করেছিল নেদারল্যান্ডস। সেই সময় কর্ণাটকের বিরুদ্ধে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল তারা। নেদারল্যান্ডস সেই দু’টি ম্যাচে হেরে গিয়েছিল। ভারতের ঘরোয়া দলের বিরুদ্ধে যারা জিততে পারেনি, তারা যে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে ভাল খেলবে সেটা কেউ আশা করেছে বলে মনে হয় না। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিতেরা যে ভাবে মারতে শুরু করেছেন তাতে বড় স্কোরের দিকে এগোচ্ছে ভারত।
বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে সবার আগে ভারতে এসেছিল নেদারল্যান্ডস। দলে নেট বোলারের অভাব থাকায় ভারত থেকেই বেছে নিয়েছিল তারা চার জন বোলারকে। বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ডাচরা। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে কর্ণাটকের রঞ্জি দলের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু করে উঠতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। প্রথম ম্যাচে ১৪২ রানে হেরেছিল ভারতে খেলতে আসা দলটি। কর্ণাটক প্রথমে ব্যাট করে ২৬৫ রান করে। নেদারল্যান্ডস আউট হয়ে যায় ১২৩ রানে। নেদারল্যান্ডসের প্রথম সাত জন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হয়ে যান। কর্ণাটক বোলারদের সুইং বুঝতে পারছিলেন না তারা। পঞ্চম ওভারেই নেদারল্যান্ডসের সাত উইকেট চলে যায়। তখন তাদের মাত্র ৩ রান। সেই তিন রানও ছিল অতিরিক্ত। ৩৬ রানের মধ্যে ৯ উইকেট চলে যায় তাদের। সেখান থেকে দলকে ১২৩ রানে নিয়ে যান রিয়ান ক্লেইন (৪৯) এবং পল ভান মিকেরেন। তাঁরা ৮৯ রানের জুটি গড়েন।
দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছিল নেদারল্যান্ডস। সেই ম্যাচে ২৯৭ রান তোলে তারা। কলিন একেরমান ৭৯ রান করেছিলেন। ক্লেইন সেই ম্যাচে করেছিলেন ৪৬ রান। কর্ণাটক সেই ম্যাচ জিতেছিল ১ উইকেটে। মণীশ পাণ্ডে শতরান করেছিলেন কর্ণাটকের হয়ে। নেদারল্যান্ডসের ওয়েসলি বেরেসি সেই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
সেই নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর মাঠেই খেলছে ভারত। শুরু থেকে মারমুখী রোহিতেরা। ১০ ওভারে ৯১ রান তোলেন রোহিত এবং শুভমন। ১০০ রানের মাথায় শুভমন যখন আউট হয়ে সাজঘরে ফিরছেন, তখন তাঁর ৫১ রান হয়ে গিয়েছেন। খেলেছেন ৩২টি বল। রোহিতেরও অর্ধশতরান হয়ে গিয়েছে। ক্রিজে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বিরাট কোহলি। এই ম্যাচে ভারতের থেকে বড় রান আশা করছেন সমর্থকেরা।