Mohammed Shami

১০ বার চোট পেলেও ফেরার জন্য লড়াই করবেন, ইডেনে নামার আগে জানিয়ে দিলেন ৩৪ বছরের শামি

দেড় বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপে শেষ বার খেলেছিলেন। আবার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মহম্মদ শামির। সেটাও ঘরের মাঠে ইডেন গার্ডেন্সে। বাংলার পেসার জানালেন, দেশের হয়ে খেলার খিদে কখনও কমা উচিত নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৯
Share:

সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের (বাঁ দিকে) হাতে সম্মানিত মহম্মদ শামি। ছবি: পিটিআই।

দেড় বছর আগে এক দিনের বিশ্বকাপে শেষ বার খেলেছিলেন। তার পরে আবার জাতীয় দলের জার্সিতে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মহম্মদ শামির। সেটাও ঘরের মাঠে ইডেন গার্ডেন্সে। বুধবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে নামবেন। তার আগে বাংলার পেসার জানালেন, দেশের হয়ে খেলার খিদে কখনও কমা উচিত নয়। চোট থাকা অবস্থাতেও কবে মাঠে ফিরবেন তার দিন গুণতেন প্রতিনিয়ত।

Advertisement

সোমবার দুপুরে ইডেনে অনুশীলন করেছেন। সন্ধ্যায় তাঁকে দেখে মোটেই ক্লান্ত লাগল না। সন্ধ্যায় সিএবি-র একটি অনুষ্ঠান ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিলেন শামি। পরে সঞ্চালকের প্রশ্নে বললেন, “দেশের হয়ে খেলার খিদে কখনও শেষ হয়ে যাওয়া উচিত নয়। যদি আপনি দেশকে ভালবাসেন তা হলে ১০ বার চোট পেলেও ফেরার জন্য সব সময় লড়াই করবেন। যারা দেশ বা রাজ্যের হয়ে খেলে তারা কখনওই ভাবে না দুম করে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা।” শামি কথাগুলি বলার সময় মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীরা। প্রত্যেকেই এ দিন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন।

শামির মতে, ক্রিকেট খেলতে গেলে চোট-আঘাত লাগবেই। তবে কী ভাবে ফিরছেন সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। জোরে বোলারের কথায়, “চোট পেলেই সবার আগে মাথায় আসে, কবে ফিরতে পারব? এই ভাবনাটা খুব দরকার। যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম করেন, তা হলে আপনার চোট যতই গুরুতর হোক না কেন, প্রত্যেক বারই ফিরে আসতে পারবেন। আমি যত বেশি ম্যাচই খেলি না কেন, মনে হয় কিছুই তো খেলিনি। যদি আমি পুরোপুরি ক্রিকেট ছেড়ে দিই তা হলে হয়তো আর কোনও দিন ফিরতে পারব না।”

Advertisement

৩৪ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে তাঁর। এই বয়সটা যে জোরে বোলারদের কাছে শেষ বেলা তা স্বীকার করছেন শামি। তবে এখনও তিনি মনে করেন, দেশের প্রতি আবেগ এবং সফল হওয়ার খিদে পুরোমাত্রায় রয়েছে।

শামির কথায়, “চোট থাকাকালীন টিভিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেছি। কোনও ভুল হলে মনে হত, ইস্‌, এটা ও রকম হলে ভাল লাগত। কিন্তু মাঠে থাকলে ব্যাপারটা অতটাও সহজ হয় না। আপনার মধ্যে সেই খিদেটা সব সময় থাকতে হবে। নীল জার্সিটা পরলে সব ক্রিকেটারের উচিত দেশের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement