মিচেল স্টার্ক এবং যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: এক্স।
এ বারের বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে বার বার দেখা গিয়েছে যশস্বী জয়সওয়াল এবং মিচেল স্টার্কের লড়াই। মেলবোর্ন টেস্টের শেষ দিনেও অন্যথা হল না। সোমবার চলল মনস্তাত্বিক লড়াই। বেল বদলের খেলা চলল মেলবোর্নে।
শেষ দিনে ভারতের লক্ষ্য ৩৪০ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মা (৯), লোকেশ রাহুল (০) এবং বিরাট কোহলির (৫) উইকেট হারায় ভারত। ঋষভ পন্থ এবং যশস্বী মিলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। সেই জুটি ব্যাট করার সময়ই ঘটনাটি ঘটে। নন-স্ট্রাইকারের দিকে ছিলেন যশস্বী। বল করে ফেরার সময় স্টার্ক হঠাৎ সেই দিকের উইকেটের বেল দু’টির জায়গা বদল করে দেন। স্টার্ক হেঁটে এগিয়ে যান বল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে। তখন যশস্বী আবার বেল দু’টিকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেন।
এর আগে বিভিন্ন ক্রিকেট ম্যাচে দেখা গিয়েছে ফিল্ডিং দল বেলের জায়গা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কখনও বোলার, কখনও ফিল্ডারেরা এমন করেছেন। তার পরেই ব্যাটার আউট হয়ে গিয়েছেন। যশস্বীর উপর মানসিক চাপ তৈরি করার জন্যই স্টার্ক এমনটা করেছিলেন। কিন্তু ভারতের তরুণ ব্যাটার নিজের চাপ কাটাতে আবার বেলের জায়গা বদল করেন। এই ঘটনা দেখে মেলবোর্নের দর্শকদেরও চিৎকার করতে শোনা যায়। তাঁরাও ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে থাকেন। দু’টি বল পরেই আবার দেখা যায় যশস্বী এবং স্টার্ককে কথা বলতে। তাঁরা যে বন্ধুত্বপূর্ণ কথা বলছিলেন এমনটা নয়।
ওভার শেষ হতে পন্থকে দেখা যায় যশস্বীর সঙ্গে কথা বলতে। তিনি তরুণ ব্যাটারকে শান্ত থাকতে বলেন। মনোযোগ হারাতে বারণ করেন। যশস্বী যদিও এর পর কয়েকটি চার মেরে জবাব দেন অস্ট্রেলিয়াকে। স্টার্ক বল করতে এসে আবার স্লেজ করেন যশস্বীকে। তিনি আবার নন-স্ট্রাইকারের দিকের উইকেটের বেল দু’টির জায়গা বদল করেন। সেই সময় নন-স্ট্রাইকারের দিকে ছিলেন পন্থ। তিনি ঘটনাটি পাত্তা দেননি। নিজের কাজে মন দেওয়াই সঠিক বলে মনে করেন পন্থ। স্টার্ক অনেক চেষ্টা করেও দ্বিতীয় সেশনে এই দুই ব্যাটারের কাউকে আউট করতে পারেননি।
তৃতীয় সেশনে পন্থ আউট হয়ে যান। ট্রেভিস হেডের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। ১০৪ বলে ৩০ রান করে আউট হয়ে যান পন্থ। আগ্রাসী ব্যাটার হিসাবেই পরিচিত তিনি। কিন্তু সোমবার যথেষ্ট মন্থর ইনিংস খেলেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৮.৮৪। যশস্বী আউট হন ৮৪ রান করে। ২০৮ বল খেলে প্যাট কামিন্সের বলে আউট হন তিনি।