অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রাক্তন প্রধান মনে করেন মেয়েদের অনেক ভাল অনুশীলন, কোচিং, ক্রিকেটের সরঞ্জাম, ম্যাচ ফি পাওয়া উচিত। তিনি লেখেন, ‘অনেক কিছুই দেওয়া হত না মেয়েদের। আমরা সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।’
ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র
ভারতে মেয়েদের ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না! বিস্ফোরক সব তথ্য দিচ্ছেন কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রাক্তন প্রধান বিনোদ রাই। তাঁর আত্মজীবনীতে এমন অনেক তথ্য তুলে আনছেন তিনি, যা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনেক অন্ধকার দিকের সন্ধান দিচ্ছে।
বিনোদ তাঁর আত্মজীবনীতে লেখেন, ‘আমার মনে হয় না ভারতে মহিলা ক্রিকেটের যতটা গুরুত্ব পাওয়া উচিত, ততটা দেওয়া হয় বলে। দুঃখের ব্যাপার, ২০০৬ সাল পর্যন্ত সে ভাবে নজর দেওয়া হয়নি মেয়েদের দলের দিকে। শরদ পাওয়ার প্রথম ছেলে এবং মেয়েদের ক্রিকেটকে একসঙ্গে করেন। আমি আতঙ্কিত হয়েছিলাম এটা জেনে যে, ছেলেদের জামা সেলাই করে মেয়েদের দেওয়া হত। আমি এসে নতুন জার্সি তৈরির উদ্যোগ নিই।’
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রাক্তন প্রধান মনে করেন মেয়েদের অনেক ভাল অনুশীলন, কোচিং, ক্রিকেটের সরঞ্জাম, ম্যাচ ফি পাওয়া উচিত। তিনি লেখেন, ‘অনেক কিছুই দেওয়া হত না মেয়েদের। আমরা সেটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।’
২০১৭ সালে মেয়েদের বিশ্বকাপ কাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। তার পরেই মেয়েদের ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বলে মনে করেন বিনোদ রাই। তিনি লেখেন, ‘ওটা কাজ না করার জন্য অজুহাত ছিল। সাহায্য না করলে ওরা ট্রফি জিতবে কী করে? ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ায় না জেতার কারণ ছিল মানসিক। মানসিক প্রস্তুতি দরকার ছিল। প্রতিটা দলের মানসিক ট্রেনার এবং মনোবিদ রয়েছে।’
বিনোদের আক্ষেপ রয়েছে যে ২০১৭ সালের আগে তিনি সে ভাবে মেয়েদের ক্রিকেটের দিকে নজর দেননি। বিনোদকে সেই বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে শতরান করা হরমনপ্রীত কৌর বলেন, “স্যর, আমার পায়ে টান ধরেছিল। দৌড়তে পারছিলাম না। তাই ছয় মারার চেষ্টা করছিলাম।” বিনোদ লেখেন, ‘হোটেলে ওদের ঠিক মতো খাবার দেওয়া হয়নি। সকালবেলা সিঙারা খেয়ে খেলতে নেমেছিল ওরা।’