ঈশান কিশন। —ফাইল চিত্র
নিজের প্রথম টেস্টেই আলোচনায় ঈশান কিশন। ইংল্যান্ডের ব্যাটার জনি বেয়ারস্টোর বিতর্কিত আউটের রিপ্লে ঘটাতে চেয়েছিলেন ঈশানও। তাও এক বার নয়, দু’বার। কিন্তু কোনও বারেই পারলেন না তিনি। এক বার তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাঁর বিরুদ্ধে গেল। আর এক বার মাঠের আম্পায়ারই নাকচ করে দেন আবেদন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩১তম ওভারে। রবীন্দ্র জাডেজার বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটার জেসন হোল্ডার। বল যায় উইকেটরক্ষক ঈশানের কাছে। তিনি বল ধরে চুপচাপ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন। হোল্ডার ক্রিজ ছেড়ে বেরনোর পরে স্টাম্প করেন। আউটের আবেদন করেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যান মাঠের আম্পায়ার। সেখানে দেখা যায়, হোল্ডারের পা ক্রিজের বাইরে গেলেও তাঁর ব্যাট ক্রিজে ছিল। ফলে বেঁচে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ব্যাটার।
দু’ওভার পরে আবার একই ঘটনা ঘটান ঈশান। এ ক্ষেত্রে হোল্ডার ক্রিজের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ওভারের শেষ বল ছিল সেটি। ঈশান আবেদন করার পরে অবশ্য মাঠের আম্পায়ার জানিয়ে দেন, তিনি বল উইকেটে লাগানোর আগেই ওভার ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে বলটি ততক্ষণে ‘ডেড’ হয়ে গিয়েছে। তাই আউট দেওয়া যায় না। অর্থাৎ, দু’ক্ষেত্রেই হতাশ হতে হয় ঈশানকে। এক বারও সফল হতে পারেননি তিনি।
অ্যাশেজ সিরিজ়ে লর্ডসে ইংল্যান্ডের ব্যাটার বেয়ারস্টোকে আউট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারে। সেখানে এই ‘ডেড বল’ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। ক্যামেরন গ্রিনের বাউন্সার বেয়ারস্টোর মাথায় উপর দিয়ে ক্যারের কাছে যায়। বল ধরেই ক্যারে উইকেটের দিকে ছুড়ে দেন। বেয়ারস্টো সেটা না দেখে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তিনি যখন ক্রিজের বাইরে তখন বল গিয়ে উইকেটে লাগে। আউটের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেন।
এই ঘটনার পরে থেকেই উত্তাপ আরও বেড়েছে অ্যাশেজ সিরিজ়ের। অস্ট্রেলিয়ার দাবি, ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থেকে আউট করেছে তারা। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের দাবি, ডেড বল সিচুয়েশনে বেয়ারস্টোকে আউট করেছে অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটীয় আদর্শের কথা মাথায় রাখেনি প্রতিপক্ষ। সেই উত্তাপ এখনও বজায় রয়েছে অ্যাশেজে।
ঈশান দু’বার স্টাম্প করতে না পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ১৪১ রানে হারাতে সমস্যা হয়নি ভারতের। অভিষেকেই ব্যাট হাতে চমকে দিয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। অধিনায়ক রোহিত ও তিনি ওপেনিংয়ে ২২৯ রান করেন। রোহিত ১০৩ রান করেন। অভিষেক ইনিংসেই শতরান করেন যশস্বী। ১৭১ রান করে আউট হন তিনি। বিরাট কোহলি করেন ৭৬ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রথম ইনিংসে করা ১৫০ রানের জবাবে পাঁচ উইকেটে ৪২১ রান করে ডিক্লেয়ার দেয় ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের হয়ে বল হাতে নায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দু’ইনিংস মিলিয়ে ১২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।