শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র
সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে নাটক। হ্যাটট্রিক করেন আফগানিস্তানের পেসার করিম জনত। তার পরেও ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। এক বল বাকি থাকতে চার মেরে দলকে জেতান শরিফুল ইসলাম। ফলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ১-০ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের দরকার ছিল ছয় রান। প্রথম বলেই চার মারেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ফলে পাঁচ বলে দু’রান করতে হত তাঁদের। তার পরেই নাটক। করিমের বলে পর পর আউট হন মেহেদি, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। আফগান বোলারের হ্যাটট্রিকের পরে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ হেরেও যেতে পারে। শেষ দু’বলে দু’রান করতে হত। হাতে দু’উইকেট ছিল। সেই পরিস্থিতিতে প্রথম বলেই চার মারেন শরিফুল। ম্যাচ জিতে যান শাকিব আল হাসানেরা।
টসে জিতে প্রথমে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান শাকিব। আফগানিস্তানের টপ অর্ডার রান পায়নি। হাজরাতুল্লা জাজাই, রহমানুল্লা গুরবাজ়, ইব্রাহিম জাদরান ও করিম ব্যর্থ হন। দলের হাল ধরেন মহম্মদ নবি। তাঁকে সঙ্গ দেন নাজিবুল্লা জাদরান ও আজমাতুল্লা ওমরজাই। নবি ৪০ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। নাজিবুল্লার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আজমাতুল্লা করেন ৩৩ রান। এই তিন ব্যাটারের দৌলতে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে অধিনায়ক শাকিব দু’উইকেট নেন। এ ছাড়া নাসুম, তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি একটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই রনি তালুকদার আউট হন। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, শাকিবেরা শুরুটা করলেও বড় রান করতে পারেননি। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ছিল। বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন তৌহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেন। শামিম ৩৩ রান করে আউট হলেও তৌহিদ এক দিকে ধরে খেলছিলেন। ফলে মনে হচ্ছিল সহজে জিতে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওভারে নাটক হল। তার পরেও তারা জিতল। ৪৭ রান করে অপরাজিত থেকে যান তৌহিদ।