বরুণ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
শেষ বার খেলেছিলেন ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তার পর তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বরুণ চক্রবর্তী ছিলেন আইপিএলেই। কোচ গৌতম গম্ভীরের হাত ধরে ফিরলেন জাতীয় দলে। এর আগে ৬ ম্যাচে ২ উইকেট নেওয়া সেই বরুণ রবিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একাই নিলেন ৩ উইকেট। ফিরলেন নজর কেড়েই।
২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। রবিবার ভারতের জার্সিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোয়ালিয়রে তিনি যখন খেলতে নামছেন, তখন ভারত মাঝের তিন বছরে ৮৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। খলিল আহমেদ ২০১৯ সালের পর খেলেছিলেন ২০২৪ সালে। তাঁর দু’টি ম্যাচের মাঝে ভারত ১০৪টি ম্যাচ খেলেছিল। বরুণ এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রইলেন।
৩৩ বছর বয়স বরুণের। কর্নাটকের এই স্পিনার আইপিএলে মূলত কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। যদিও তাঁর অভিষেক হয়েছিল পঞ্জাব কিংসের হয়ে ২০১৯ সালে। পরের বছরই তাঁকে দলে নেয় কলকাতা। নাইটদের হয়ে পাঁচ বছরে ৭০টি ম্যাচে ৮২টি উইকেট নিয়েছেন বরুণ। নতুন বলে বল করতে পারেন, মাঝের অভারেও বল করেন। কিন্তু ভারতীয় দলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল, যুজবেন্দ্র চহাল, রবি বিষ্ণোইদের ভিড়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন।
অশ্বিন এখন আর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান না। জাডেজা অবসর নিয়েছেন। ডাক পান না চহালও। সেই ফাঁক দিয়েই কেকেআরের প্রাক্তন মেন্টর গম্ভীরের হাত ধরে ভারতীয় দলে বরুণ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে বরুণের লড়াই ছিল বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে। রবিবার সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলেন বরুণ। তোহিদ হৃদয়, জাকের আলি এবং রিশাদ হোসেনকে আউট করেন তিনি। এই সিরিজ়ে মনে হয় নিজের জায়গাটা পাকা করে ফেললেন বরুণ।