বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র
ইডেনে দর্শকদের মন জিতেছেন বিরাট কোহলি। করেছেন এক দিনের ক্রিকেটে তাঁর ৪৯তম শতরান। ছুঁয়ে ফেলেছেন সচিন তেন্ডুলকরকে। ম্যাচ জেতার পর গোটা দল যখন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তখন বিরাটও মাঠ ছেড়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি আবার মাঠে ফিরে আসেন।
আসলে নিজের জন্মদিনে কলকাতাবাসীকে উপহার দেওয়ার পরে আরও একটি দলকে উপহার দিলেন বিরাট। সেটি হল ইডেনের মাঠকর্মীদের দল। তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন বিরাট। সেই কারণেই দ্বিতীয় বার তাঁকে মাঠে ঢুকতে দেখা যায়।
ম্যাচ শেষে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে আবার ফিরে যাচ্ছেন বিরাট। সেখানে তখন মাঠকর্মীরা দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন বিরাট। তাঁকে কাছে পেয়ে যেন হাতে চাঁদ পান মাঠকর্মীরা। তাঁদের মুখের হাসিই বুঝিয়ে দিচ্ছিল, জন্মদিনে বিরাটের থেকে উপহার পেয়েছেন তাঁরাও।
জন্মদিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তৃপ্ত বিরাট। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে খুব বড় ম্যাচ ছিল। বিশ্বকাপের সব থেকে কঠিন ম্যাচ। তাই এই ম্যাচে ভাল করতেই হত। প্রত্যেকে নিজের কাজ করেছে। আমাদের জন্মদিনে এই জয় এসেছে বলে এটা আমার কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ।’’
ইডেনে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব সাবলীল হয়নি। মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়ছিলেন। স্পিনারেরা বল করতে আসার পরে বেশ কয়েক বার ব্যাটে-বলে হয়নি। তাতে অবশ্য তাঁকে টলানো যায়নি। এই উইকেটে খেলা সহজ ছিল না বলেই জানিয়েছেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘‘ওপেনারেরা খুব ভাল শুরু করেছিল। মনে হচ্ছিল এই উইকেটে ব্যাট করা সহজ। কিন্তু বল একটু পুরনো হয়ে যাওয়ার পরে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। উইকেট মন্থর হয়ে গিয়েছিল। তাই সবাইকে বলেছিলাম, আমার সঙ্গে জুটি বাঁধতে। শ্রেয়স সেটাই করেছে। সেই কারণেই ৩০০ পার করতে পেরেছি।’’
প্রথমে ব্যাট করে ৩২৬ রান করার পরে বিরাট বুঝে গিয়েছিলেন প্রয়োজনের থেকে বেশি রান করে ফেলেছেন তাঁরা। বাকি কাজটা ছিল বোলারদের। তাঁরা সেই কাজ খুব ভাল ভাবে করেছেন। ভারতীয় ক্রিকেটার বলেন, ‘‘এই উইকেটে ৩২৬ রান প্রয়োজনের থেকে বেশি ছিল। বোলারদের কাজ ছিল শুধু ঠিক জায়গায় বল করা। সেটা ওরা ভাল ভাবে করেছে। এই জয়ে খুব খুশি।’’