মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
অর্জুন পুরস্কার পাবেন মহম্মদ শামি। বাংলার ক্রিকেটারকে অর্জুন পুরস্কার দেওয়ার আবেদন করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এ বারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের দ্বিতীয় সেরা পুরস্কার পেতে চলেছেন শামি। তিনি ছাড়াও বাংলার টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ঐহিকা মুখোপাধ্যায় এবং ইকুয়িস্ট্রিয়ান অনুষ আগরওয়াল অর্জুন পাবেন। ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কার পাবেন সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি এবং চিরাগ শেট্টি। ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার খেল রত্ন। দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জুন।
বিশ্বকাপে শামি ২৪টি উইকেট নেন। এ বারের প্রতিযোগিতায় সব থেকে বেশি উইকেট তাঁরই দখলে। তবে ভারতকে ট্রফি এনে দিতে পারেননি শামি। সূত্রের খবর, বোর্ডের তরফে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের কাছে শামির নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রথমে অর্জুন পুরস্কারের তালিকায় প্রথমে তাঁর নাম ছিল না।
ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এ বারে ধ্যানচাঁদ পুরস্কার পাচ্ছেন শুধু চিরাগ এবং সাস্তিক। অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন মোট ২৬ জন। শামি, ঐহিকা এবং অনুষ ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন ওজাস প্রবীণ দেওতালে (তিরন্দাজ), অদিতি গোপীচাঁদ স্বামী (তিরন্দাজ), শ্রী শ্রীঙ্কর (অ্যাথলেটিক্স), পারুল চৌধরি (অ্যাথলেটিক্স), মহম্মদ হুসামুদ্দিন (বক্সার), আর বৈশালী (দাবাড়ু), দিব্যকৃতী সিংহ (ইকুয়িস্ট্রিয়ান), দীক্ষা ডগর (গল্ফার), কৃষ্ণ বাহাদুর পাঠক (হকি), সুশীলা চানু (হকি), পবন কুমার (কবাডি), ঋতু নেগি (কবাডি), নাসরিন (খোখো), পিঙ্কি (লন বল), ঐশ্বর্য প্রতাপ সিংহ তোমর (শুটিং), এষা সিংহ (শুটিং), হরিন্দর পাল সিংহ সান্ধু (স্কোয়াশ), সুনীল কুমার (কুস্তি), অন্তিম পঙ্ঘল (কুস্তি), রোশিবিনা দেবী (উশু), শীতল দেবী (প্যারা তিরন্দাজ), অজয় কুমার রেড্ডি (দৃষ্টিহীন ক্রিকেট), প্রাচী যাদব (প্যারা ক্যানোয়িং)।
দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেওয়া হয় প্রশিক্ষকদের। সেই পুরস্কার পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন গণেশ প্রভাকরণ (মল্লখম্ব), মহাবীর প্রসাদ সাইনি (প্যারা অ্যাথলেটিক্স), ললিত কুমার (কুস্তি), আরবি রমেশ (দাবা) এবং শিবেন্দ্র সিংহ (হকি)।
ধ্যানচাঁদ লাইফ টাইম পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন কবিতা সেলভারাজ (কবাডি), মঞ্জুশা কানওয়ার (প্যারা অ্যাথলেটিক্স) এবং বিনীত কুমার শর্মারাও (হকি)। আগামী বছর ৯ জানুয়ারি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।