রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
মেলবোর্নে জেতার জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩৪০ রান। পঞ্চম দিনে ভারত যখন ব্যাট করতে নামে, তখন ৯২ ওভারের খেলা বাকি ছিল। রোহিত শর্মা জানালেন, তাঁরা ম্যাচ জেতার জন্যই খেলছিলেন। যদিও ভারতীয় দলের খেলা দেখে কখনও মনে হয়নি তারা রান তাড়া করতে নেমেছেন। সময় কাটানোই মূল লক্ষ্য ছিল বলে মনে হয়েছে। রোহিত তা মানলেন না, পাল্টা যুক্তিও দিলেন।
শেষ দিনে ৩৪০ রান তাড়া করে জেতা যে সহজ নয়, তা রোহিত ভালই জানতেন। তিনি বলেন, “নিজেদের সবটুকু দিয়েই লড়াই করেছি। আমরা জানতাম ৩৪০ রান তাড়া করা সহজ হবে না।” কিন্তু শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক খেলছিল ভারত। রোহিত বলেন, “আমরা একটা ভিত তৈরি করতে চাইছিলাম। প্রথম দু’টি সেশনে হাতে উইকেট রেখে খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা খুব ভাল বল করেছে। আমরা রান তাড়া করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সেটার ভিত গড়তে পারিনি। ম্যাচ জেতার রাস্তা তৈরি করতে হয়, আমরা সেটা পারিনি।”
ভারতের খেলা দেখে যদিও কখনও মনে হয়নি তারা রান তাড়া করার কথা ভাবছে। ওপেন করতে নেমে ১৬ ওভারে ২৫ রান করেছিলেন রোহিত এবং যশস্বী জয়সওয়াল। অধিনায়ক রোহিত ৪০ বল খেলে ৯ রান করেন। লোকেশ রাহুল যদিও ৫ বলের বেশি খেলতে পারেননি। ফর্মে না-থাকা বিরাট ৫ রান করে আউট হলেও খেলেন ২৯ বল। ২৭তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন বিরাট। ভারতের স্কোর তখন ৩৩/৩। ঋষভ পন্থ এবং যশস্বী মিলেও সময় কাটানোর দিকেই মন দিয়েছিলেন। তাঁরা চা-বিরতি পর্যন্ত কোনও ঝুঁকিই নেননি। তৃতীয় সেশনে পন্থ পুল মারতে গিয়ে আউট হন। সেটাই প্রথম আগ্রাসী শট ছিল তাঁর। ১০৪ বলে ৩০ রান করেন পন্থ। তিনি এই ধরনের ক্রিকেট সাধারণত খেলেন না। যশস্বীও ২০৮ বলে ৮৪ রান করেন। তিনিও যথেষ্ট ঝুঁকিহীন ক্রিকেট খেলছিলেন। ৯২ ওভারে ৩৪০ রান করতে হলে ভারতের ওভার প্রতি ৩.৬৯ রান প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যশস্বী যখন ৭১তম ওভারে আউট হচ্ছেন, তখনও ভারতের ২০০ রান প্রয়োজন ছিল। জেতার জন্য খেললে শেষ বেলায় সেই রান তোলা যথেষ্ট কঠিনই হত রোহিতদের পক্ষে।