রোহিত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাডেজা। —ফাইল চিত্র।
ভারতের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ ছিল ৮ অক্টোবর। রবিবার শেষ ম্যাচ খেলার মাঝে ঘুরতে হয়েছে ভারতের ন’টি শহর। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম ঘুরে বেড়িয়েছেন রোহিত শর্মারা। চেন্নাইয়ের গরম থেকে ধর্মশালার ঠান্ডা, সবই দেখতে হয়েছে তাঁদের। বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিন পর্বের শেষ ম্যাচ খেলার পর রোহিত জানালেন কী ভাবে গোটা দলকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে।
নেদারল্যান্ডসকে রবিবার হারিয়ে দেয় ভারত। ন’টি ম্যাচই জিতে নেয় তারা। ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, “আমরা একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগচ্ছিলাম। জানতাম খুব লম্বা প্রতিযোগিতা। বেশি দূরের কথা ভাবলে জেতা যাবে না। তাই আমরা একটা করে ম্যাচের দিকে নজর দিচ্ছিলাম। আলাদা আলাদা দলের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলতে হয়েছে। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে। আমরা সেটা পেরেছি। আমি খুশি ন’টা ম্যাচই জিততে পেরে।”
নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ভারতের ন’জন বোলার বল করেছে। চোট পেয়ে হার্দিক পাণ্ড্য দল থেকে ছিটকে যাওয়ায় পাঁচ জন বোলার নিয়ে খেলছে ভারত। এমন অবস্থায় ভারতের ষষ্ঠ বোলারের অভাব ঢাকার লোক নেই বলে আলোচনা হচ্ছিল। রবিবার বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা একটি করে উইকেট তুলে নিলেন। রোহিত বলেন, “আমাদের দলের ন’জন বল করেছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নিজেদের দেখে নেওয়ার সুযোগ ছিল। আমরা তাই বিভিন্ন জিনিস পরীক্ষা করেছি। পেসারেরা প্রয়োজন ছাড়াই ওয়াইড ইয়র্কার করেছে। আমরা আলাদা কিছু করে দেখার চেষ্টা করছিলাম।”
গোটা প্রতিযোগিতায় ভারতের সকলে কোনও না কোনও ম্যাচে ভাল খেলেছে। সেটাই স্বস্তি দিচ্ছে রোহিতকে। তিনি বলেন, “আমরা যে ভাবে ন’টা ম্যাচ খেলেছি, তাতে আমি খুব স্বস্তি পেয়েছি। রবিবারও আমরা ভাল খেলেছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হয়েছে। কেউ না কেউ এসে ম্যাচ জিতিয়েছে। এটা খুব ভাল একটা দিক।”
রবিবার ম্যাচের সেরা হন শ্রেয়স আয়ার। তিনি শতরান করেছেন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এমনই একটা পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। রবিবার তাই চাইছিলাম শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে। পায়ে টান লাগছিল। ওষুধ খেয়ে ব্যাট করেছি।”