জেমাইমা রদ্রিগেজ়। —ফাইল চিত্র
দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে বাংলাদেশের মহিলা দলকে হারিয়ে সিরিজ়ে সমতা ফেরাল ভারতের মহিলা দল। ব্যাটে-বলে দাপট দেখালেন ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজ়। ব্যাট হাতে ৮৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। রান তাড়া করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। তাদের শেষ সাত উইকেট পড়েছে মাত্র ১৪ রানে। ১০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে ভারত।
ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার প্রিয়া পুনিয়ার উইকেট হারায় ভারত। যস্তিকা ভাটিয়াও রান পাননি। স্মৃতি মন্ধানা শুরুটা ভাল করলেও বড় রান করতে পারেননি। ৩৬ রানের মাথায় তিনি আউট হলে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত।
কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ও জেমাইমা। ভারতীয় দলের হয়ে সাধারণত তিন নম্বরে নামলেও এই ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ইনিংস খেললেন জেমাইমা। তিনি এক দিকে রান করায় কিছুটা সময় পান হরমন। তাঁরা দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুই ব্যাটারের মধ্যে ১৩১ রানের জুটি হয়। এই জুটিই দলকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করায়।
দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান করেন। তবে হরমনপ্রীত কিছুটা ধীরে খেলেন। ৮৮ বলে ৫২ রান করেন তিনি। অন্য দিকে মন্থর উইকেটেও ৭৮ বলে ৮৬ রান করেন জেমাইমা। শতরান করার সুযোগ ফস্কান তিনি। হরলীন দেওল ২৫ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে ভারত। বাংলাদেশের হয়ে সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আখতার দু’টি করে এবং মারুফা আখতার ও রাবেয়া খান একটি করে উইকেট নেন।
২২৯ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটাও ভাল হয়নি। মাত্র ৩৮ রানে দলের তিন উইকেট পড়ে যায়। চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন ফরগনা হক ও রিতু মণি। দু’জনের মিলে দলের রান ১০০ পার করান। রানের গতি কম হলেও ধীরে ধীরে লক্ষ্যের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৪৭ রান করে ফরগনা আউট হওয়ার পরেই ব্যাটিং বিপর্যয় হয় দলের।
বাংলাদেশের শেষ সাত উইকেট পড়ে যায় মাত্র ১৪ রানে। শেষ ছয় ব্যাটারের কেউ দু’অঙ্কে যেতে পারেননি। ব্যাটের পরে বল হাতেও কামাল করেন জেমাইমা। ৩.১ ওভারে তিন রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। আর এক স্পিনার দেবীকা বৈদ্য নেন তিন উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেঘনা সিংহ, দীপ্তি শর্মা ও স্নেহ রানা। ৩৫.১ ওভারে ১২০ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।