তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের পর কোহলি দলের তিন ব্যক্তিকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন বিরাট কোহলি। শেষ চারটি এক দিনের ম্যাচে তিনটি শতরান করেছেন। টি-টোয়েন্টিতেও রয়েছে একটি শতরান। কোহলি জানিয়েছেন, বিরতি নেওয়ার কারণেই এই সাফল্য। তবে তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের পর দলের তিন ব্যক্তিকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না। তাঁরা কোচ বা সতীর্থ নন, দলের তিন থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক বাঙালিও।
ভারতীয় দলে থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন তিন জন। ডি রাঘবেন্দ্র, নুয়ান সেনাবীরত্নে এবং দয়ানন্দ গরানী। অনুশীলনে ক্রমাগত ১৪৫-১৫০ কিমি গতিতে তাঁরা বল করে যান কোহলিদের। সেটা মাথায় রেখেই শুভমন গিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেছেন, “যখনই আমরা খেলতে নামি, তার আগে ওরা বিশ্বমানের অনুশীলন করায়। নেটে ঘণ্টায় ১৪৫ বা ১৫০ কিলোমিটারে বোলিং করে আমাদের চ্যালেঞ্জ করে। সব সময় আমাদের আউট করার চেষ্টা করে এবং পরীক্ষার মধ্যে রাখে।”
কোহলির সংযোজন, “মাঝেমাঝে ব্যাপারটা খুব হাড্ডাহাড্ডি হয়ে যায়। সত্যি বলতে, আমার কেরিয়ারে এটা বিরাট পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ক্রিকেটার হওয়ার সময় যে রকম ছিলাম, তার পর এই ধরনের অনুশীলন করার পর এখন যে রকম ক্রিকেটার হয়েছি, তার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তার অনেকটা কৃতিত্বই প্রাপ্য ওদের। নিয়মিত আমাদের অনুশীলন করিয়ে গিয়েছে। ওদের অবদান অবিশ্বাস্য। সবার উচিত ওদের নাম মনে রাখা এবং মুখ চিনে রাখা। আমাদের সাফল্যের পিছনে ওদের অবদান অনেকটাই।”
পূর্ব মেদিনীপুরের জামাতিয়া গ্রামের ছেলে গরানি কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে কাজ করেছেন। ২০২০-তে পঞ্জাব কিংসের থ্রোডাউন বিশেষজ্ঞ হন। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে রঘুর কোভিড হওয়ায় তিনি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সে দেশে যান। কাজ করেছেন অন্ধ্র রঞ্জি দলের সঙ্গেও।
সেনাবীরত্নেকে ভারতীয় দলে নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। পাক পেসারদের মোকাবিলা করার জন্য। তখন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত। এক দশক শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে কাজ করেছেন। রাঘবেন্দ্র ওরফে রঘু ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে না পেরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বোলিং কোচদের শেখাতে যোগ দেন। সচিন তেন্ডুলকর এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পছন্দের লোক ছিলেন রঘু।