ফিট কোহলী। ফাইল ছবি
রবিবার থেকেই তিনি অনুশীলনে নেমে পড়েছিলেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে বিরাট কোহলী জানিয়ে দিলেন, তিনি পুরোপুরি ফিট। ফলে তৃতীয় টেস্ট খেলতে আর কোনও বাধা থাকল না। তবে চোটের পর এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি মহম্মদ সিরাজ। তিনি তৃতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন না।
ম্যাচের আগে সোমবার কোহলী বলেছেন, “আমি পুরোপুরি ফিট হয়ে গিয়েছি। সিরাজ ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে এই মুহূর্তে আমার মনে হয়, ও ম্যাচের জন্য পুরোপুরি সুস্থ নয়। জোরে বোলার হিসেবে ১১০ শতাংশ সুস্থ না হলে কাউকে নিয়ে ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। সিরাজ এখনও পুরোপুরি ফিট হতে পারেনি। কিন্তু আমি ফিট হয়ে গিয়েছি।”
সিরাজের জায়গায় দ্বিতীয় টেস্টে কে খেলবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। উমেশ যাদব এবং ইশান্ত শর্মা ইতিমধ্যেই রিজার্ভ বেঞ্চে বসে রয়েছেন। তার মধ্যে কাকে খেলানো হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ইঙ্গিত কোহলীর সাংবাদিক বৈঠকে পাওয়া যায়নি। কোহলী বলেছেন, “সিরাজের বদলে কাকে খেলানো যায় সেটা নিয়ে আমি কোচ এবং সহ-অধিনায়কের সঙ্গে বসে আলোচনা করব। এখনও সেই আলোচনা হয়নি। প্রত্যেকে ভাল খেলছে। তাই ওর বদলে কাকে নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। আশা করি যে-ই সুযোগ পাক না কেন, অপরজন তাতে একটুও মন খারাপ করবে না।”
জোহানেসবার্গ টেস্টে হেরে গিয়েছিল ভারত। সিরিজে সমতা ফেরায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অনেকেই মনে করছেন, জোহানেসবার্গে কোহলীর সেই উত্তেজনা দেখা যায়নি অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক কেএল রাহুলের মধ্যে। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডিন এলগার অনায়াসেই ভারতের বোলারদের উপর দাপট দেখিয়ে দলকে জিতিয়ে দিয়েছেন। কোহলী অবশ্য নিজেও দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে না পেরে কিছুটা ব্যথিত। বললেন, “সত্যি বলতে, দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে না পারার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। ধারাবাহিক ভাবে আইপিএল-এ খেলেছি। ফলে শরীরের উপর দিয়ে একটানা ধকল গিয়েছে। সেটাই বেড়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় টেস্টের আগে। তবে এর আগেও ম্যাচ চলাকালীন আমার ব্যথা হয়েছে। এই ঘটনা এটাই বোঝাচ্ছে যে, আমরাও সাধারণ মানুষ এবং চাপের জন্য আমাদের শরীরেও ব্যথা হতে পারে।”
চাপে থাকা দুই ব্যাটার চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রহাণের পাশে দাঁড়িয়েছেন কোহলী। জানিয়েছেন, দুই ক্রিকেটারের সঙ্গেই তাঁর আলোচনা হয়েছে। কোহলী বলেছেন, “আমাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে সেটা বলতে রাজি নই। তবে খারাপ ছন্দ ক্রিকেট খেলতে গেলে হয়েই থাকে। কোনও ক্রিকেটার ইচ্ছা করে ছন্দ হারায় না। যে ভাবে রহাণে এবং পুজারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেছে, সেটা আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান ছিল। অতীতেও বিদেশের মাটিতে খেলতে গিয়ে ওরা এ ভাবেই কঠিন পরিস্থিতিতে দলের জন্য সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। এই দু’জন ক্রিকেটার বরাবরই কঠিন সময়ে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে প্রভাব ফেলে। অস্ট্রেলিয়াতেও আগে আমরা দেখেছি। গত টেস্টেও সেটা আমরা দেখতে পেলাম।”