টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই রোগ সারাতে না পারলে দুঃখ আছে রোহিতদের। —ফাইল চিত্র
এশিয়া কাপে ক্যাচ ফস্কানোর খেসারৎ দিতে হয়েছিল ভারতকে। সেই রোগ এখনও সারেনি ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনটি ক্যাচ পড়ল। ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে গেল সেখানেই।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অষ্টম ওভারে বল করছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। তাঁর ওভারের তৃতীয় দলে ক্যাচ ফেলেন অক্ষর পটেল। মিড উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনের সহজ ক্যাচ ফেলেন তিনি। সেই সময় গ্রিনের স্কোর ছিল ৪২ রান। পরের ওভারে অক্ষরের বলে ক্যাচ ফেলেন লোকেশ রাহুল। লং অফে দৌড়ে এসে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। স্মিথ সেই সময় ব্যাট করছিলেন ১৯ রানে। ঠিক জায়গায় পৌঁছতেই পারেননি রাহুল। গ্রিন শেষ করেন ৬১ রানে এবং স্মিথ করেন ৩৫ রান। ম্যাচ ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যায় ওখানেই।
তৃতীয় ক্যাচ ফেলেন হর্ষল পটেল। তিনি নিজের বলেই ক্যাচ ফেলেন। ১৮তম ওভারে বল করতে এসে ম্যাথু ওয়েডের উইকেট প্রায় নিয়েই ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু বল হাতে লেগে বেরিয়ে যায়। ওয়েড সেই সময় ব্যাট করছিলেন ২৩ রানে। ওই ওভারে জীবন ফিরে পেয়ে একটি ছক্কাও মারেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক। ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যাচ ফেলেছিলেন অর্শদীপ সিংহ। সেই ক্যাচ ফস্কানোয় তাঁকে ‘খলনায়ক’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবারের ম্যাচে খেলেননি তিনি। কিন্তু ভারতীয় দলের ক্যাচ ফেলার রোগ স্পষ্ট হয়ে উঠল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই রোগ সারাতে না পারলে দুঃখ আছে রোহিতদের।